কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার

ফেসবুক কি - ফেসবুক ব্যবহার করার নিয়মপ্রিয় পাঠক,আপনারা কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার,কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি,কম্পিউটার ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই মনোযোগ সহকারে কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাই সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার অপরিহার্য। বলতে গেলে কম্পিউটার ছাড়া এই আধুনিক যুগে কোন কাজ করায় অসম্ভব। এজন্য আপনাদেরকে ক ম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার আর্টিকেলের মাধ্যমে কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

ভূমিকা

উন্নত বিশ্ব গড়তে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞান গবেষণা,চিকিৎসা গবেষণা,মহাকাশ গবেষণা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন লাভ করেছে। কম্পিউটারের নিখুঁত গননার ফলে অনেক জটিল বিষয় খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। শুধু গণনার ক্ষেত্রে না তথ্যপ্রযুক্তি সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে কম্পিউটারের অবদান রয়েছে। তবে কম্পিউটারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং কাজের ভিত্তিতে প্রকারভেদ রয়েছে।
যা সবকিছুই মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আজ আমরা বিশ্বের যত উন্নয়ন লক্ষ্য করি তার সবকিছুই কম্পিউটারের ভূমিকা রয়েছে। তাই আমাদের সকলের উচিত হবে কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং উন্নত দেশ গড়া। এই অপরিহার্য কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে,কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

কম্পিউটার আবিষ্কার করেন কে

বর্তমানে আমরা যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছি,সেসব কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘ সময়ের গবেষকদের গবেষণার ফলে এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকের এসব প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। যার ফল এখন আমরা ভোগ করছি। আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি তা ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে। আজকের বিশ্ব যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বিশ্বের মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। তাদের পরিচয় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

চলুন জেনে নেই,চার্লস ব্যাবেজ সর্বপ্রথম কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা দেন। এবং তিনি কম্পিউটারের মেকানিক্যাল সাইটে কাজ করে কম্পিউটারের বাস্তব রূপ দেন। পরবর্তীতে তার করা নকশার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের আধুনিক রূপ পায়। চার্লস ব্যাবেজ ১৮২২ সালে প্রথম কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। এবং এটির নাম দেওয়া হয়েছিল মেশিনিয়াল কম্পিউটার। তিনি ছিলেন একজন English Mathematician।

কম্পিউটার আবিষ্কারের জন্য চার্লস ব্যাবেজ কে ফাদার অফ কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে। আধুনিক কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ কে বলা হয়। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য মতে, আধুনিক কম্পিউটারের জনক হলেন জনভন নিউম্যান। এবং বিশ্বে সর্বপ্রথম সম্পন্ন ইলেকট্রনিক কম্পিউটার নির্মাণ করা হয় ১৯৪৩ সালে তার নাম ছিল Electronic Numerical Integrator And Computer।

কম্পিউটার চালু করার পদ্ধতি কি

আপনারা যদি কম্পিউটারে কোন কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে কম্পিউটার চালু করা জানতে হবে। এবং কম্পিউটার যদি আপনি ব্যবহার করতে না জানেন তাহলে কম্পিউটার সম্পর্কে কোন কিছুই জানতে পারবেন না। এবং আপনার প্রয়োজনীয় কোন কাজই করতে পারবেন না। তাই কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে হলে আগে কম্পিউটার চালু করা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে এবার চলুন কিভাবে কম্পিউটার চালু করা যায় তার পদ্ধতি আমরা জেনে নেই।
  • সর্বপ্রথম আপনাকে কম্পিউটার চালু করার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে এমন প্লাগ পয়েন্টে ঢুকিয়ে প্লাগপয়েন্টের সুইচ অন করে চালু করতে হবে।
  • তারপর আপনাকে UPS এর বোতামে টিপতে হবে। যদি UPS এর সাথে আপনার কম্পিউটার সংযোগ করা থাকে।
  • এরপর আপনাকে CPU এর পাওয়ার বোতাম এ টিপতে হবে।
  • CPU পাওয়ার বোতাম অন করার সাথে সাথে আপনার কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে।
এবং যদি আপনার কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে তাহলে পাসওয়ার্ড দিয়ে Enter ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটার খুলে যাবে।

সংক্ষেপে কম্পিউটার চালু করার ধাপ অনুসরণ করুন।

  • বিদ্যুৎ সংযুক্ত বোর্ডের সুইচ অন করুন
  • UPS অন করুন
  • CPU এর পাওয়ার বোতাম টিপুন
  • কম্পিউটার চালু হলে যদি পাসওয়ার্ড থাকে
  • এবং পাসওয়ার্ড দিন
এভাবেই উপরোক্ত পদ্ধতি বা নিয়ম অনুসরণ করলেই আপনি আপনার কম্পিউটার চালু করতে পারবেন।

সুপার কম্পিউটার নাম

আমরা বিভিন্ন গবেষণার জন্য এবং প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বিভিন্ন রকম কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। এসব কম্পিউটার মধ্যে আলাদা আলাদা কার্যক্ষমতা থাকে। তাহলে চলুন আজকে আমরা সুপার কম্পিউটার সম্পর্কে জানবো। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার এখন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। দেশটির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (ORNL) "ফ্রন্টিয়ার সুপার কম্পিউটার"। যার গতি প্রতি সেকেন্ড ১.১ কুইন্টিলিয়ন হিসাবের মাইক ফলক ছুঁয়েছে।

আপনারা জেনে অবাক হবেন যে,সুপার কম্পিউটারগুলো আকারে এতটাই বড় হয় যে যা একটা বিল্ডিং এর কয়েক তলা জুড়ে হতে পারে এর অবস্থান। সাধারণত কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা হয় পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের বিভিন্ন জটিল উত্তর খুঁজতে। এছাড়াও এই সুপার কম্পিউটারগুলো ওষুধ,ভ্যাকসিন গবেষণাতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
 
সুপার কম্পিউটারের সংখ্যা গণনার হিসাব করলে দেখা যায় সবার শীর্ষে রয়েছে চীন। বর্তমানে চীনের কাছে আছে ১৭৩ টি সুপার কম্পিউটার। এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ১২৬ টি সুপার কম্পিউটার। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার বছরে দুবার গতির বিচারে ৫০০ সুপার কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করে থাকে টপ ৫০০ নামের প্রতিষ্ঠানগুলো। 

যা জার্মান এবং মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কে চালিয়ে তা প্রকাশ করে থাকে। আপনাদের জানানোর সুবিধার্থে নিচে আমরা ১২ টা সুপার কম্পিউটারের নামের তালিকা দিলাম।
  • ফ্রন্টিয়ার (যুক্তরাষ্ট্র)
  • ফুগাকু (জাপান)
  • সামিট (যুক্তরাষ্ট্র)
  • সিয়েরা (যুক্তরাষ্ট্র)
  • সানওয়ে তাই হু লাইট(চীন)
  • তিয়ানহে-২এ (চীন)
  • ফ্রনটেরা (যুক্তরাষ্ট্র)
  • ইজ ডেইন্ট (সুইজারল্যান্ড)
  • ট্রিনিটি (যুক্তরাষ্ট্র)
  • এবিসিআই (জাপান)
  • সুপার এম ইউ সি-এন জি (জার্মানি)
  • ল্যাসেন (যুক্তরাষ্ট্র)

কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার

বর্তমান যুগকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আর এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা করা অসম্ভব। তাই চলুন কম্পিউটার কি-কম্পিউটার কত প্রকার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আধুনিক যুগের অপরিহার্য কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

কম্পিউটার কি

কম্পিউটার হচ্ছে হিসাব কারী বা গণনাকারী ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। যা খুব দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক এবং যৌগিক সমাধান করে থাকে। কম্পিউটারে এমন একটা যন্ত্র যার সাহায্যে তথ্য আদান - প্রদান,প্রক্রিয়াকরণ, আউটপুট প্রদর্শন,এবং তথ্য সংগ্রহ করা যায়। গ্রিক শব্দ Compute (কম্পিউট ) যার অর্থ হল হিসাব করা বা গণনা করা।
গ্রিক শব্দ Compute থেকে কম্পিউটার শব্দটি এসেছে। এছাড়াও ল্যাটিন শব্দ Computare (কম্পিউটেয়ার) তার অর্থ হল হিসাব করা বা গণনা করা। গ্রিক শব্দ এবং ল্যাটিন শব্দের অর্থ একই। তাই বলা যেতে পারে এই দুই শব্দ থেকেই কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি।

কম্পিউটার কত প্রকার

কম্পিউটার কত প্রকার তা নিচে তুলে ধরা হলো।
বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার হলো সাধারণত ৩ প্রকার।
  • এনালগ কম্পিউটার
  • ডিজিটাল কম্পিউটার
  • হাইব্রিড কম্পিউটার
এনালগ কম্পিউটারঃ এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer) হলো যা ইলেকট্রনিক,যান্ত্রিক,এর ভৌত হিসেবে রূপ দেয়। এছাড়াও এনালগ কম্পিউটার এমন একটি কম্পিউটার যা ভোল্টেজ পরিমাপ,গ্যাস বা তরল পদার্থের পরিমাপ,ইত্যাদি সংখ্যার সাথে পরিচালনা করে এবং পরিমাপযোগ্য পরিমাণে প্রতিনিধিত্ব করে বা তুলনা করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,গাড়ির মধ্যে থাকা স্পিড মিটার,টেম্পারেচার মিটার ইত্যাদি।

ডিজিটাল কম্পিউটারঃ আধুনিক যুগে ডিজিটাল কম্পিউটারের ব্যবহার অপরিহার্য। বলতে গেলে সকল কম্পিউটারই ডিজিটাল কম্পিউটারের অন্তর্ভুক্ত। ডিজিটাল কম্পিউটার বাইনারি সিস্টেম যেমন ০ ও ১ ব্যবহার করে গণনার কাজ করে থাকে। একসময় শুধু যোগ - বিয়োগ গুন ভাগের কাজ করে থাকলেও বর্তমানে ডিজিটাল কম্পিউটার দ্রুত গতিতে অনেক জটিল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে থাকে। ডিজিটাল কম্পিউটারের উদাহরণ হল ল্যাপটপ,ডেস্কটপ,স্মার্টফোন ইত্যাদি।

হাইব্রিড কম্পিউটারঃ হাইব্রিড কম্পিউটার হল এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলিকে সমন্বয়ে গঠিত যে যন্ত্র তৈরি হয়। একদিকে এনালগ এর মত দ্রুত কাজ করে থাকে । আবার অন্যদিকে ডিজিটালের মত নির্ভুলভাবে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ বলা যায়,এনালগ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল প্রদর্শন করে।

আকার আকৃতির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কম্পিউটার কে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
  • সুপার কম্পিউটার
  • মেইনফ্রেম কম্পিউটার
  • মিনি কম্পিউটার এবং
  • মাইক্রো কম্পিউটার
সুপার কম্পিউটারঃ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও দ্রুত সম্পন্ন কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে অনেক জটিল এবং সূক্ষ্ম কাজ করা যায়। এবং আকার আকৃতির দিক থেকে সবচেয়ে বড় হয়। সুপার কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা,মহাকাশ গবেষণা, নভোযান,পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত,বিমান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।

মেইনফ্রেম কম্পিউটারঃ সুপার কম্পিউটার এর তুলনায় অনেক কম ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার হল মেইনফ্রেম কম্পিউটার। এই মেইনফ্রেম কম্পিউটারও শক্তিশালী এবং আকারে বড় হয়। এই কম্পিউটার গুলো গবেষণার পাশাপাশি বাণিজ্যিক তথ্য আদান - প্রদান সংরক্ষণ করে থাকে।

মিনি কম্পিউটারঃ মিনি কম্পিউটার মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে আকারে বড় হয়। মিনি কম্পিউটার গুলো বিলডিং একাউন্টিং এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করে থাকে। মিনি কম্পিউটারে টার্মিনাল লাগিয়ে একসাথে প্রায় ২০০ জন এর মত ব্যবহার করতে পারে।

মাইক্রো কম্পিউটারঃ আমরা যেগুলো কম্পিউটার ব্যবহার করি তা হলো মাইক্রো কম্পিউটার। মাইক্রো কম্পিউটার কে ব্যক্তিগত কম্পিউটারও বলা হয়। ব্যক্তিগত কাজের জন্য বা উদ্দেশ্যে এসব কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। যেমন ল্যাপটপ ,ডেস্কটপ ইত্যাদি।

মাইক্রো কম্পিউটার কে আবার ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
  • ডেস্কটপ কম্পিউটার
  • ল্যাপটপ কম্পিউটার
ডেস্কটপ কম্পিউটারঃ ডেস্কটপ কম্পিউটার হলো এক ধরনের ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা আমাদের দৈনিন্দ্য কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস আদালত,ব্যক্তিগত গেমস খেলা,বিনোদনের মাধ্যম দেখা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ল্যাপটপ কম্পিউটারঃ ল্যাপটপ কম্পিউটার হল ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতোই ব্যক্তিগত। কিন্তু এই ল্যাপটপ কম্পিউটার নিজ ইচ্ছায় ব্যাগে করে যেখানে সেখানে সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন। পড়াশোনা,কর্মক্ষেত্রে,ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য এবং বিভিন্ন কাজে ল্যাপটপ ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি

আধুনিক যুগ বলি আর তথ্যপ্রযুক্তির যুগ বলি না কেন কম্পিউটারের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকে আমরা জানবো কম্পিউটারের প্রধান কাজ গুলো কি কি। কম্পিউটারের প্রধান কাজ হল ইনপুট গ্রহণ করা এবং মেমোরিতে ডাটা স্টোর করা। এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যগুলোকে প্রসেসিং করা এবং আমাদেরকে আউটপুট প্রদান করা। এছাড়াও
  • গণনা করা
  • তথ্য সংরক্ষণ করা
  • তথ্যপ্রদর্শন করা
  • তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা

কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার

আমরা সবাই জানি কম্পিউটার বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে গঠিত । এই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেমগুলো সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। তাই বলা যেতে পারে,ডিভাইস হলে এমন একটি ফিজিক্যাল হার্ডওয়ার যেটি কম্পিউটারের সিস্টেমের মধ্যে আবদ্ধ থেকে কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন ফাংশন প্রোভাইড করে। কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে তাই ডিভাইস। চলুন এখন জেনে নেই কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার।

কম্পিউটার প্রধান ডিভাইস ২ ধরনের।
  • ইনপুট ডিভাইস
  • আউটপুট ডিভাইস
ইনপুট ডিভাইসঃ কম্পিউটার কে ইনপুট দেওয়ার জন্য যেসব ডিভাইসগুলোকে নিয়ে কাজ করা হয় সেটাই ইনপুট ডিভাইস। যেমনঃ মাউস,কিবোর্ড,ও সি আর, এম আই সি আর ইত্যাদি।

আউটপুট ডিভাইসঃ যে সকল ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা আউটপুট পেয়ে থাকে সে সকল ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়। যেমনঃ প্রিন্টার,মনিটর,প্রজেক্টর ইত্যাদি।

কম্পিউটার ডিভাইস সাধারণত ৪ প্রকার।
  • ইনপুট ডিভাইস
  • স্টোরেজ ডিভাইস
  • প্রসেসিং ডিভাইস
  • আউটপুট ডিভাইস

কম্পিউটারের ব্যবহার

বর্তমান আধুনিক যুগে কম্পিউটার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। যা আধুনিক সভ্যতা ও কম্পিউটার কে আলাদাভাবে চিন্তা করার উপায় নেই। বর্তমানে মানব জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। যেহেতু কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে নির্ভুল ফলাফল এবং দ্রুতগতিশীল হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত কম্পিউটার ব্যবহার বেড়েই চলেছে।

মানুষের কাজকে সহজ করার অন্যতম মাধ্যম হলো কম্পিউটার। আমরা আজকে জানবো কোন কোন ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে এবং সহজ করেছে তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • বিজ্ঞান গবেষণায় কম্পিউটারের ব্যবহার
  • তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার
  • মহাকাশ গবেষণায় কম্পিউটারের ব্যবহার
  • আবহাওয়া পূর্বাভাস গণনায় কম্পিউটারের ব্যবহার
  • ব্যবসার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • বিমান নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • রকেট নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় কম্পিউটারে ব্যবহার
  • গভমেন্ট জবে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • প্রাইভেট জবে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • ইন্টারনেট সেবায় কম্পিউটারের ব্যবহার
  • বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
  • ব্যক্তিগত কাজে কম্পিউটার এর ব্যবহার
এছাড়াও অসংখ্য ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে। এক কথায় বলা যায়,কম্পিউটার ছাড়া জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং দ্রুত নির্ভুল ভাবে কাজ করা সম্ভব না।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক,কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার এই আর্টিকেলে উপরোক্ত অংশে কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে কিভাবে বিশ্ব উন্নত এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে তা সম্পর্কে বলা হয়েছে। এছাড়াও কম্পিউটার কি - কম্পিউটার কত প্রকার,কম্পিউটারের কাজ কি,কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি,এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে আপনারা কম্পিউটার সম্পর্কে এবং কম্পিউটারের অপরিসীম গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url