গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকে আপনাদের জন্য গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি গর্ভবতী অবস্থায় কত দিন সহবাস করা যায়, গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের সতর্কতা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। মহিলাদের গর্ভবতী বিষয় এ বিস্তারিত জানতে গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়াও গর্ভবতী হলে কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এবং গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আজকের গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ে নিন।

গর্ভবতী অবস্থায় কতদিন সহবাস করা যায়

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে গর্ভবতী অবস্থায় স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে কিনা বা সহবাস করলে সন্তানের কোন ধরণের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা। উত্তরে হ্যাঁ সহবাস করা যায় এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা বলেন, যদি কারো শরীর সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর হয় এবং স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা বজায় থাকে তাহলে সহবাস করতে পারেন। এ নিয়ে বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। এবং গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে পেটে থাকা অনাগত বাচ্চার কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কারণ বাচ্চা মায়ের তলপেট এবং জরায়ুর শক্ত পেশী দ্বারা আবিষ্ট থাকে। এর সাথে ঘিরে থাকে অ্যামনিওটিক স্যাকের মধ্যে যার ফলে বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখে। এবং জরায়ুর মুখ মিউকাস প্লাগ দ্বারা বেষ্টিত থাকে যা বাচ্চাকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময় এসে গেলে চিকিৎসকেরা সহবাস করার পরামর্শ দেন। কারণ হলো শুক্রানু প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক হরমোন যা জরায়ুকে সংকোচন করতে উদ্দীপিত করতে পারে।

তবে হ্যাঁ যদি প্রসবের ঝুঁকি থাকে তাহলে সহবাস করা থেকে দূরে থাকা উচিত। এ সময় সহবাস করলে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন গুলোতে সংকোচন ঘটতে পারে। আর যদি গর্ভকালীন সময় স্বাভাবিক থাকে তাহলে বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের সতর্কতা

গর্ভাবস্থা সময় নারীদের প্রথম তিন মাস সতর্কতার সাথে থাকতে হবে। প্রথম ৩মাস অর্থাৎ ০-১৩ সপ্তাহকে ফাস্ট ট্রাইমেস্টার বলা হয়। এই সময় গর্ভস্থ বাচ্চার সঠিক এবং পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর অঙ্গ প্রতঙ্গের গঠন এবং বিকাশ ঘটে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সময়ের মধ্যে জন্মগত ত্রুটি হয়ে থাকে। 

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩মাস লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিবে তা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই কোন দুর্ঘটনা বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এখন চলুন গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের সর্তকতা গুলো কি কি।
  • যদি আপনি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে আপনি গর্ভবতী তখন থেকে সাবধানে চলাফেলা করতে হবে।
  • প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এবং চিকিৎসকের সাথে যেন সবসময় যোগাযোগ করা যায় এমন চিকিৎসককে নির্বাচন করতে হবে।
  • ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন গ্রহণ থেকে দূরে থাকতে হবে। তা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যেভাবে হোক না কেন।
  • গর্ভবতী হওয়ার কারণে শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন ঘটে থাকে। যার কারণে অনেক সময় বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খাবারের প্রতি অরুচি এবং শরীর খারাপ লাগতে পারে। তবে অনেকের এই উপসর্গগুলো হতেও পারে নাও হতে পারে তবে ভয় পাবার কোন কারণ নেই।
  • বমি যদি বেশি হয় তাহলে আপনি যা করতে পারেন সকালে উঠে লেবু পানি খেতে পারেন। আর মাথা ঘুরালে তখনই শুয়ে পড়বেন দেখবেন কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।
  • হরমোনের পরিবর্তনের ফলে আস্তে আস্তে স্তনের আকার পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে স্তন নরম হবে এবং ব্যথা হতে পারে। এমন হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ পরিবর্তন আপনার বাচ্চার জন্যই জরুরী।
  • বাচ্চা গর্ভধারণের ফলে শরীরের অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে। অনেকে জেনে থাকবেন প্রসাবের নালীর উপরে জরায়ুর অবস্থিত এবং এই জরায়ুতে সন্তান ধারণ করা হয়। তাই সন্তান ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হওয়ার সাথে জরায়ুর প্রসাবের নালির উপর চাপ পড়ে। যার ফলে প্রসাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এরকম সমস্যা প্রথম ৩ মাস এবং শেষ ৩ মাসের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে।
  • অনেক নারীর বুক জ্বালা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অন্য নারীর তুলনায় গর্ভবতী নারীর হজম হতে সময় লাগে। কারণ গর্ভবতী বাচ্চার খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে বেশি সময় লাগে। এর ফলে অনেক গর্ভবতী নারীর কষ্ট হয়ে থাকে এবং হতে পারে বুক জ্বালাসহ কোষ্ঠকাঠিন্য। তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যদি এ সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে পারেন।
  • এছাড়াও যেসব নতুন গর্ভবতী নারীরা আছেন। তারা অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনকে মানিয়ে নিতে পারে না বা মানিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়। ফলে অনেক সময় মুডসুইং হতে পারে এবং হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে রাগ লাগা, খারাপ লাগা হতে পারে। এরকম হলে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ বেশি উত্তেজিত হলে সন্তানের জন্য ভালো হয় না।
  • সহবাস করার সময় দুজনকেই ধৈর্য ধরে মানিয়ে নিয়ে সহবাস করার চেষ্টা করতে হবে। হয়তো অনেক সময় শারীরিক খারাপ লাগতে পারে তা সঙ্গীর সাথে শেয়ার করবেন এবং সহবাস করা থেকে বিরত থাকবেন।
  • এমন কোন কাজ করা যাবে না যা পেগনেন্সি সেভ না। প্রথম তিন মাস সতর্ক থাকতে হবে এ সময় এবরশনের হার বেশি হয়ে থাকে। তাই ভারি কোন কাজ মোটেও করা উচিত না।
  • এ সময় নিয়মমত ঘুম পারতে হবে। রাতে কমপক্ষে ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। দিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু করে বিশ্রাম নিতে পারেন।
  • পোশাক সবসময় ঢিলেঢালা আরামদায়ক পড়তে হবে। এবং গর্ভবতীর ঘর পর্যাপ্ত আলো - বাতাস খোলামেলা পরিবেশ ও কোলাহলমুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পিচ্ছিল জায়গায় চলাচল করলে সর্তকতার সাথে করতে হবে। এবং বাথরুম ভেজা বা পিচ্ছিল যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন একটা দুর্ঘটনা আজীবনের জন্য কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • সুষম এবং পুষ্টির সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমন কোন খাবার খাবেন না যা হজম হতে সমস্যা হয়। ভারী খাবার খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে এবং বুক জ্বালা করতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় নরম এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে।
  • গর্ভবতী নারীকে যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন সামুদ্রিক খাবার, পেঁপে, আনারস, কামরাঙ্গা, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, আদা সেদ্ধ মাংস, আদা সিদ্ধ ডিম, অতিরিক্ত লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম

গর্ভাবস্থায় সহবাস কতটা নিরাপদ হবে। এই প্রশ্ন সবার মনেই জাগে। বিশেষ করে মেয়েদের মনে বেশি কাজ করে। সবারই কম বেশি গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইচ্ছা জাগে বিশেষ করে স্বামীদের। কিন্তু মনে প্রশ্ন এসে যায় গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে? উত্তরে বলবো না। যদি আপনার স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা থাকে এবং শরীর স্বাস্থ্যকর থাকে তাহলে প্রসব শুরু না হওয়া পর্যন্ত আপনি সহবাস করতে পারবেন। 

তবে প্রথম ৩ মাস এবং শেষ ৩ মাস সতর্কতা অবলম্বন করে সহবাস করতে হবে। তবে গর্ভাবস্থায় শরীরের কিছু লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো লক্ষণ দেখা দিলে সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেগুলো হলো;
  • যদি অকাল প্রসবের ঝুঁকি থাকে প্রসবের ঝুঁকি থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় সহবাস থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • সহবাস করার সময় যদি অস্বাভাবিক ব্যথা হয় তাহলে সহবাস করা বন্ধ করতে হবে। এবং চিকিৎসার সাথে কথা বলতে পারেন।
  • এছাড়াও প্ল্যাসেন্টা প্রিভিয়া থাকলেও সহবাস থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণে এ সময় সহবাস করলে রক্তপাত হতে পারে।
  • আর যদি শরীরে এস টি আই থাকে তাহলেও সহবাস থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ বাচ্চার শরীরেও সেই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার ঝুঁকি থাকে।

অনেকে জানতে চান গর্ভবতী অবস্থায় কিভাবে সহবাস করলে কোন সমস্যা হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস করতে চাইলে স্বামী - স্ত্রী উভয়ের সম্মতি কমে করাটাই উত্তম। যদি দেখেন স্ত্রীর ইচ্ছে নেই বা শারীরিক কোন সমস্যা হতে পারে তা শেয়ার করার মাধ্যমে যদি সম্ভব হয় তাহলে সহবাস করা উচিত। এখন চলুন গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
  • যেহেতু এ সময় মেয়েদের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং পেট আকারে বড় হয় তাই সহবাস করার সময় নারী উপরে উঠে সহবাস করতে পারে। এতে নারী উপরে থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং নিজের মতো করে লিঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে পারে। এ অবস্থায় সহবাস করলে নারীরা নিজের সুবিধামতো সহবাস করতে পারে ফলে ঝুঁকি কম থাকে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় শুয়ে থেকে এক পাশে কাত হয়ে সহবাস করলে নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। এভাবে সহবাস করার নিয়ম হলো প্রথমে হাটু একটু ভাজ করে শুয়ে থাকতে হবে তারপর স্ত্রীর পিছন থেকে স্বামী সহবাস করতে হবে। তবে আস্তে আস্তে সতর্কতার সাথে সহবাস করতে হবে। এভাবে সহবাস করলে পেটে কোন আলাদা চাপ পড়বে না এবং কোন সমস্যা ও হবে না।
  • এছাড়াও গর্ভবতীর সময় সহবাসের নিয়ম হলো হাটু ও হাতে ভর দিয়ে সহবাস করা। এভাবে সহবাস করলে শরীরের সম্পূর্ণ ভর হাটু এবং হাতে থাকে। এই পজিশনে সহবাস করলে মেয়েরা অনেক আরামদায়ক অনুভব করে। এতে কোন আলাদা চাপ পড়ে না।
  • তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ বাচ্চা নষ্ট হয় আমাদের সঠিক তথ্য এবং অসচেতনার অভাবে। বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় কিভাবে সচেতনার সাথে চলাফেরা করতে হবে, থাকতে হবে এবং সহবাস করতে হবে তা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। যার কারণে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। তাই উচিত হবে গর্ভবতী অবস্থায় সতর্ক থাকা এবং সহবাস করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সহবাস করা।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন গর্ভবস্থায় সহবাস করার ইসলামিক নিয়ম কি? এবং কিভাবে সহবাস করলে ইসলামে জায়েজ আছে। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বিচরণ করো। (সূরা - বাকারাঃ আয়াত নং ২২৩) এই আয়াত দ্বারা বুঝায় যে স্বামী - স্ত্রী যখন ইচ্ছে যেভাবে ইচ্ছে সহবাস করতে পারে।
 
কোন বিধি-নিষেধ নেই, স্ত্রী যদি কোন ধরনের শারীরিক অসুস্থ না থাকে সে ক্ষেত্রে সহবাস করতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় সহবাসের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে সহবাস করা উচিত। সে সময় যদি সহবাস করে তাহলে স্ত্রীর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এখন চলুন জেনে নেই, কোন অবস্থায় থাকলে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে না।
  • স্ত্রীর সাথে পায়ু পথ এবং অ্যাানাল সেক্স করা যাবে না।
  • মাসিক বা ঋতুস্রাব চলাকালে সহবাস করা যাবে না। কারণ এ সময় সহবাস করা ইসলামে জায়েজ নাই।
এই দুটি সময় বা নিয়মে সহবাস করা ইসলামে জায়েজ নাই। তাছাড়া আপনি গর্ববস্থায় সহবাস করা ইসলামে জায়েজ আছে বা করতে পারবেন। আলাদা কোন নিয়ম - কানুন নেই।

গর্ভবতী হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভবতী অবস্থায় শরীরের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ সময় খাবারের প্রতি সচেতন থাকতে হবে। প্রতিদিন সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এমন খাবার বা ফল খাওয়া যাবেনা যা শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। এখন চলুন জেনে নেই, গর্ভবতী হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না বা না খাওয়াই উচিত।
  • পেঁপে
  • আঙ্গুর
  • আনারস
  • ক্যানে ভরা টমেটো
  • তরমুজ
  • খেজুর
পেঁপেঃ পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স যা জরায়ুর সংকোচন ঘটায়। ফলে এ সময় গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়

আঙ্গুরঃ বিশেষ করে শেষ তিন মাস গর্ভবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়। কারণ আঙ্গুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে পরিমিত খাওয়া যেতে পারে।

আনারসঃ আনারসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুষ্টি উপাদান। কিন্তু গর্ভবতী নারীদের উষ্ণ ফল খাওয়া উচিত না। আনারস যে এনজাইম আছে তা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। যার কারণে জরায়ুতে হতে পারে এবং প্রসব যন্ত্রণা হতে পারে। তাছাড়া আনারস খেলে ডায়রিয়া ও হতে পারে।
ক্যানে ভরা টমেটোঃ ক্যানে ভরা টমেটোতে প্রিজারভেটিক থাকে। ফলে এগুলো খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

তরমুজঃ আমরা জানি, তরমুজ গ্রীষ্মকালে খাওয়া অনেক উপকার। গর্ভবতী অবস্থায় তরমুজ না খাওয়াই উত্তম। কারণ শরীরে উৎপন্ন টক্সিন বের করে দেয়। যার ফলে বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন বিষের প্রভাব পড়তে পারে।

খেজুরঃখেজুর শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। কিন্তু খেজুর গর্ভবতী নারীদের খাওয়া উচিত হবে না। এর কারণ হলো খেজুর খেলে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি জরায়ুতে যন্ত্রণা হতে পারে।

গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম - শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের জন্য গর্ভবতী সময় সহবাসের নিয়ম এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যা সম্পর্কে সবারই কম - বেশি ধারণা থাকা উচিত। গর্ববস্থায় একজন মহিলার অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা চেষ্টা করেছি, এই সময় কিভাবে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে কিভাবে জীবন - যাপন করতে হবে এবং স্বামীর সাথে সহবাস করতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url