মাসিক না হলে ঔষধ - মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকারআপনারা মহিলাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাসিক না হলে ঔষধ - মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকে আমরা অনিয়মিত মাসিক হলে এর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই মাসিক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
মাসিক না হলে ঔষধ - মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
মাসিক একজন নারীর জন্য অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি বিষয়। আর যদি কোন কারনে তা নিয়মিত হয় তাহলে অনেকে টেনশনে পড়ে যায়। তবে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়

কীভাবে বন্ধ মাসিক চালু করবেন সে সম্পর্কে এখানে নিচে কিছু সাধারণ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাহলে চলুন, দেরি না করে যে জেনে নেই।

শারীরিক কারণ শনাক্ত করাঃ প্রথমে কারণটি চিহ্নিত করা প্রয়োজন মাসিক বন্ধ থেকে মুক্তি পেতে। চিকিৎসা বা অন্য কোন সমস্যা হলে নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

স্টেজ নিয়ন্ত্রণঃ কম চাপ এবং দুশ্চিন্তা না করা মাসিক হতে সাহায্য করতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায়ই মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখার।

পুষ্টিকর খাবারঃ প্রোটিন, ভিটামিন এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাবারের উপর ভিত্তি করে আপনি সঠিক পুষ্টি পাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন।

নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম নিয়মিত পিরিয়ড হতে সাহায্য করতে পারে। যেকোনো ধরনের পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ আপনার মাসিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।

উষ্ণ ব্যবস্থাঃ মাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ প্যাড বা পরিষ্কার বা উষ্ণ পানির বোতল ত্বকে উষ্ণায়নের পদক্ষেপ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শঃ যদি এই পদক্ষেপগুলি ফল না দেয় এবং সমস্যার সমাধান না হয়। তাহলে নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যাতে ওষুধ বা পরামর্শ পাওয়া যায়।

সতর্কতাঃ পিরিয়ড মিস হওয়ার কারণ চিহ্নিত করা না গেলে, এটি আরও গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

মাসিক না হলে ঔষধ

মাসিক না হলে কি ওষুধ খাওয়া যাবে তা সম্পর্কে জানার আগে তার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো ব্যাধির জন্য ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। তাহলে চলুন, মাসিক না হলে ওষুধ খাওয়ার পূর্বে যেসব সম্পর্কে সবাইকে অবগত থাকা জরুরী তা নিচে আলোচনা করা হলো।
  • মাসিক না হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে। যেমন- গর্ভাবস্থা, হরমোনাল সমস্যা, ওবেসিটি, পুরুষদের হরমোনাল সমস্যা ইত্যাদি। মাসিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জেনে বাড়তি ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • অনেক সময় মাসিক না হওয়ার মূল কারণ গর্ভাবস্থা হতে পারে। তাই মাসিক দেরি হওয়ার আগে গর্ভপাত বা গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  • এছাড়াও, মাসিক না হওয়ার অন্যান্য কারণ হতে পারে। যেমন- হরমোনাল সমস্যা, কম ওজন অথবা বেশি ওজন, প্রতিদিনের জীবনযাপনে পরিবর্তন ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলি নির্দেশ করে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  • অতএব, মাসিক না হওয়ার সমস্যার সমাধান হিসেবে অন্যান্য মাধ্যমের সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মেডিকেল প্রোফেশনালের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যাতে সঠিক উপায়ে সমস্যার সমাধান ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানা যায়। তাই নিজে নিজে কোন ওষুধ কিনে খাওয়া উচিত হবে না।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

মাসিক না হওয়ার কয়েকটি কারণ হতে পারে। যেমন:

শারীরিক পরিবর্তনঃ যদি কোনও ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হয় যেমন ওজনের পরিবর্তন, হরমনের পরিবর্তন, অতিরিক্ত মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

হরমোনাল সমস্যাঃ হরমোনাল সমস্যা একটি উচ্চ কারণ হতে পারে যা মাসিক অনিয়ম বা মাসিক বন্ধের কারণ হতে পারে। প্রধান হরমোনাল সমস্যাগুলির মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), থাইরয়েড সমস্যা, হরমোনাল ব্যালান্সের অভাব অথবা অতিরিক্ত হরমোন প্রস্তুতি রয়েছে।

খাদ্য বা পুষ্টির অভাবঃ অতিরিক্ত ওজন হওয়া, পরিশ্রম বা খাদ্যে পরিপূর্ণ উপাদানের অভাব হতে পারে যা মাসিক না হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত চাপ বা চিন্তাঃ অতিরিক্ত চাপ বা চিন্তা, মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত শারীরিক চাপ কারণে মাসিক না হওয়া হতে পারে।

এই সমস্যাগুলি ছাড়াও অন্যান্য কারণও হতে পারে। যদি কেউ মাসিক না হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে সেই সমস্যার দ্রুত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম

মাসিক হওয়ার জন্য অনেক ধরণের ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। তবে এই ধরনের ট্যাবলেট ব্যবহারের আগে জানতে হবে আসলে কি সমস্যার কারণে নিয়মিত মাসিক হয় না। আর এই জন্য প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তারপরও আপনাদের জানার সুবিধার্থে কিছু সাধারণ মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম দেওয়া হল;
  • Normens - Reneta
  • Feminor - Acme
  • Ethinor - Eskayef
  • Remens - Popular
  • Menoral - Square
সতর্কবার্তাঃ এই ধরণের ট্যাবলেট সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিছু ট্যাবলেট প্রযোজ্য মাসিক সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট ট্যাবলেট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করা উচিত।

টক খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়

যখন কোন নারীর বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ হয় তখন কিন্তু অনেক টেনশনে পড়ে যায়। বিশেষ করে যেসব নারী-অবিবাহিত রয়েছেন। তখন বিভিন্ন উপায় খুঁজতে শুরু করে কিভাবে তাড়াতাড়ি মাসিক হবে। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে যেগুলো খেলে খুব তাড়াতাড়ি মাসিক হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল টক খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়? হ্যাঁ হ... যেসব বিবাহিত মেয়ে বাচ্চা নিতে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা নাও হতে পারে। 

তবে যারা বাচ্চা নিতে আগ্রহী না এবং মনে সন্দেহ করেন মাসিক বন্ধের কারণে বাচ্চা আসতে পারে তাহলে টক খেতে পারেন। টক বলতে যে কোন টক হতে পারে। যেমন- তেতুল, আনারস ইত্যাদি জাতীয় টক ফল। এজন্য যেসব মেয়েরা অবিবাহিত যারা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বলতে লজ্জা বোধ করেন। সেসব নারীর।। চাইলে ঘরে বসেই সমস্যাগুলো দূর করতে পারেন। 

এই সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত টক ফল খেতে পারেন তাহলে দেখবেন মাসিক একেবারে ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে। তবে যেহেতু মাসিক শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ হয় যেতে পারে। তাই যদি এসব টক গ্রহণ করার পরও মাসিক ক্লিয়ার হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার একটি অংশ। মেয়েদের মাসিক বন্ধের যেসব কারণ হতে পারে তা নিচে তুলে ধরা হলো

শারীরিক পরিবর্তনঃ কিশোরী হওয়ার সময়ে বিভিন্ন মেয়েদের শরীরে স্ত্রীর প্রধান লক্ষণ হল মাসিকের শুরুতে অথবা শেষে শারীরিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তন অক্সিজেনের সাথে হরমোনের স্তরের পরিবর্তনের কারণে হতে পারে যা মাসিক বন্ধের একটি কারণ হতে পারে।

শারীরিক অসুস্থতাঃ কিছু শারীরিক অসুস্থতা যা মাসিক বন্ধের কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ হিসেবে বলা যায় ওবেসিটি, থাইরইড সমস্যা, গর্ভাশয় সম্পর্কিত সমস্যা ইত্যাদি যেকোনো কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে মেয়েদের মাসিক বন্ধের কারণ হতে পারে।

হরমোনাল সমস্যাঃ হরমোনাল সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা থাকলে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হতে পারে।

এই অবস্থার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হলে সেই মেয়ের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের মাসিক বন্ধের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে এবং সাধারণভাবে এটি কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। তবে, যদি এটি দীর্ঘমেয়াদি বা কোনও অনিয়মিত মাসিক হয়, তবে মেয়েদের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মাসিক কি কারণে অনিয়মিত হতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এবং এই সমস্যা থেকে কিভাবে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায় তা আলোচনা করেছি। তবে মনে রাখবেন যেকোন সমস্যার জন্য যদি কোন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার স্বাস্থ্যর ক্ষতি হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url