স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে জেনে নিনআপনারা স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনাদের জন্য দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়, মহিলাদের মোটা হওয়ার ঔষধ এবং স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করবো। কিভাবে মোটা হওয়া সম্ভব এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ আর্টিকেলটি পড়ুন।
স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমাদের উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন অনেক কম হলে দেখতে খুবই খারাপ লাগে। যা ভাষাই বলা সম্ভব না। তার মধ্যে মানুষের নানান কথা শুনতে হয়। খুব কষ্ট লাগে তখন। তাই কি পদ্ধতি অনুসরণ করলে মোটা হওয়া যায় তা সম্পর্কে জানুন স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ আর্টিকেলটি পড়ে।

কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে

আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন হলে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন হলে দেখতে অনেক খারাপ লাগে। অনেকে চিন্তায় পড়ে যায় কিভাবে শরীরের ওজন বাড়ানো যায়। শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। ভিটামিন সহ বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার বৃথা চেষ্টা করে। আসলে এ বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারণে ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজতে থাকে। এমন কোন স্পেসিফিক ভিটামিন নেই যা আপনি খেলে আপনার ওজন বাড়বে। 
ওজন বাড়বে কিন্তু স্থায়ী থাকবে না এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। আপনার ওজন বাড়াতে হলে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ও বি, এমাইনো এসিড জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই বিশেষ কিছু খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে। যেমন- খাদ্য তালিকায় নিয়মিত দুধ, কলা, ডিম, বাদাম, খেজুর এবং মাংস রাখার চেষ্টা করবেন। এতে ধীরে ধীরে আপনার দেহের ওজন বাড়তে শুরু করবে।

স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ

আমাদের কাছে স্থায়ী মোটা হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে স্থায়ী মোটা হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবো। সত্যি কি তাই কোন ওষুধ খেলে স্থায়ী মোটা হওয়া যায়। না, এমন কোন ওষুধ নেই যে আপনি সেবন করলে স্থায়ী মোটা হতে পারবেন। আপনি চাইলে কোন ওষুধ সেবন করে মোটা হতে পারবেন। কিন্তু তা স্থায়ী কখনোই হবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো বাজারে যেসব মোটা হওয়ার ওষুধ রয়েছে তা সেবন করলে অল্প কিছুদিনের জন্য হয়তো মোটা হবেন কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। 

এবং আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকতে পারে। তাই এসব মোটা হওয়ার ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকবেন। আপনি মোটা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি বেশি নজর দিবেন এবং রুটিন মাফিক জীবন চলার চেষ্টা করবেন। এর জন্য কিছু টিপস দিতে পারি তাহল;
  • একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
  • বেশি রাত জাগা যাবে না খুব তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খান।
  • সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা এবং খেজুর খেতে পারেন।
  • সকালের খাবার সবচেয়ে ভালো মানের খেতে হবে।
  • দিনে ৪-৫ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে অর্থাৎ পেট খালি রাখা যাবে না।
  • ক্যালোরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে।
টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। যদিও টেনশন সবারই চলে আসে তবে এর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
এতে আপনার স্বাস্থ্যর উন্নতি হবে এবং শরীর ভালো থাকবে। আপনি স্থায়ী মোটা হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখবেন। যেমন-
  • দুধ
  • কলা
  • ডিম
  • ডাল
  • মাংস
  • বাদাম
  • খেজুর
  • টক দই
দুধঃ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান দুধে পাওয়া যায়। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ১২। যা শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সহায়তা করে এবং রক্তশূন্যতা দূর করে। দুধ ওজন বাড়াতে বেশ সহায়ক। আপনি চাইলে সকালের নাস্তায় দুধ রাখতে পারেন বা রাতে ঘুমানোর আগে।

কলাঃ নিয়মিত কলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কলাতে ফাইবার রয়েছে যা হজমের সহায়তা করে। এতে আপনাকে স্বাস্থ্যবান করতে সহায়তা করবে। সকালের নাস্তা হিসেবে কলা উত্তম।

ডিমঃ আমরা ডিম এর উপকারিতা সম্পর্কে সবাই জানি। ডিমকে প্রকৃতির "মাল্টিভিটামিন" বলা হয়। ডিমে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল। আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তায় ডিম রাখতে পারেন।

ডালঃ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে পাতলা ডালের তুলনায় ঘন অনেক ভালো। ডাল হল প্রিবায়োটিক খাবার। এসব খাবার গ্রহণের ফলে শরীরের ভিতর থাকা উপকারী অনুজীবগুলোকে সুস্থ রাখে। ওজন বৃদ্ধি করতে আপনি ডালকে দুপুরের খাবারে যুক্ত করতে পারেন।

মাংসঃ ওজন বৃদ্ধি করতে দুপুরের খাবারে মুরগির মাংস রাখুন। আপনারা ভাবছেন হয়তো গরু-খাসির মাংস রেখে মুরগি কেন? আপনার গরুর-খাসির মাংস খেলে হয়তো ওজন বাড়বে কিন্তু এতে যে চর্বি থাকে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যা আপনি মুরগিতে পাবেন না এবং দামেও কম। তাই আপনি দুপুরের খাবারে মুরগির মাংস রাখুন।

বাদামঃ ওজন বৃদ্ধি করার জন্য বাদাম বেশ উপকারী। যেকোনো বাদাম যেমন-চিনা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম এবং পেস্তা বাদাম। আপনার সুবিধার্থে যেকোনো বাদাম খেতে পারেন। বিকেলের নাস্তায় বাদাম রাখতে পারেন।

খেজুরঃ খেজুর খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। খেজুরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনের পাশাপাশি ফাইবার ফাইবার রয়েছে। হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্ত তৈরিতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এবং হজমে সহায়তা করে। খেজুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। আপনি চাইলে সকালের নাস্তা বা বিকেলের নাস্তায় খেজুর রাখতে পারেন।

৭ দিনে মোটা হওয়ার ঔষধ

৭ দিনে মোটা হওয়ার ওষুধ। এই কথা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগছে না? আসলেই তাই ৭ দিনে কি মোটা হওয়া যায় বা এমন কোন ওষুধ আছে যে ৭দিনে মোটা করবে। "না" নেই, যদিও কিছু ওষুধ রয়েছে মোটা হওয়ার কিন্তু তা স্থায়ী না। এবং স্বাস্থ্যর মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই আপনারা এসব বিজ্ঞাপন দেখে ওষুধ কখনোই খাবেন না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা রয়েছে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি এইসব ওষুধ তৈরি করে থাকেন। শুধু প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে শরীর বেশি মোটা না হলেও স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের ওজন কম হতে পারে। যেমন- অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস, জেনেটিক, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে শরীরের ওজন কম হতে পারে। আপনারা জানতে চাচ্ছেন দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়। দ্রুত ওজন কখনো বৃদ্ধি পায় না যদিও বিভিন্ন ওষুধ সেবনের ফলে বৃদ্ধি পায় কিন্তু তা শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকি। 
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির চেয়ে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তাহলে চলুন জেনে নেই, স্থায়ী মোটা হওয়ার ওষুধ আর্টিকেলের এই পর্বে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে। ওজন বৃদ্ধি করার কিছু টিপস হল;
  • ব্যায়াম করতে হবে। অনেকে মনে করেন শুধু ওজন কমাতে ব্যায়াম করতে হবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ওজন কমাতে ব্যায়ামের প্রয়োজন এটা ঠিক আবার ওজন বাড়াতেও ব্যায়ামের প্রয়োজন পড়ে। একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনার এর মাধ্যমে ব্যায়াম করতে হবে। আপনার শারীরিক কন্ডিশন দেখে তিনি নির্ধারণ করবেন যে আপনার জন্য কোন ব্যায়াম উপযুক্ত।
  • ওজন বৃদ্ধি করতে বারবার খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতি ২-৩ ঘন্টা পর পর অল্প অল্প করে কিছু খাবার খেতে হবে। যেমন-দুধ, ডিম এবং ফলমূল। এতে শরীরের পুষ্টির অভাব দূর হবে এবং ওজন বৃদ্ধি হবে।
  • ওজন বৃদ্ধি করতে খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট রাখুন। কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান উৎস হচ্ছে ভাত ও রুটি। প্রতিদিন অন্তত ২ বার কার্বোহাইড্রেট খাবার গ্রহণ করুন। এটি মোটা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে।
  • প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধি করতে শুধু ক্যালোরি না পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখার।
  • ওজন বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ড্রাই ফুডস খাবেন। ড্রাই ফুডসে আছে প্রচুর ক্যালরি ও ফ্যাট যা ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। সকাল ও বিকেলের নাস্তায় ড্রাইভ ফুডস রাখতে পারেন।
  • সব সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে টেনশন। ওজন কমাতে টেনশন যেমন সহায়ক তেমনি ওজন বৃদ্ধিতে টেনশন মুক্ত থাকা জরুরী। তাই চেষ্টা করবেন নিজেকে টেনশন মুক্ত রাখতে।
  • ওজন বাড়াতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম ওজন বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী।

মোটা হওয়ার ভিটামিন সিরাপ

আপনি মোটা হতে চাইলে নিচের সিরাপ গুলো খেতে পারেন। এগুলো খেলে আপনি খুব সহজেই আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই সিরাপগুলোর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে হ্যাঁ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছাড়া সেবন করা উচিত না। শুধু আপনাদের জানানোর সুবিধার্থে স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ আর্টিকেলের মাধ্যমে মোটা হওয়ার ভিটামিন সিরাপ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
  • সিনকারা সিরাপ।
  • পিউটন সিরাপ।
  • রুচিবেট সিরাপ।
  • আমলকী সিরাপ।
  • আলফালফা প্লাস সিরাপ।
সিনকারা সিরাপঃ আপনি দ্রুত মোটা হতে চাইলে সিনকারা সিরাপ খেতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যর উন্নতি হবে। সিনকারা সিরাপ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যেকোন ফার্মেসিতে সিরাপ পাবেন।

পিউটন সিরাপঃ আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পিউটন সিরাপ খেতে পারেন। এই সিরাপ খেলে আপনার শরীর পূর্বের তুলনায় স্বাস্থ্যবান করে তুলতে সক্ষম। বাজারের যেকোন ফার্মেসিতে এই সিরাপ পেয়ে যাবেন। পিউটন সিরাপ এর মূল্য ৩৬০ টাকা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে দামের পার্থক্য হতে পারে।

রুচিবেট সিরাপঃ রুচিবেট সিরাপ খেলে খাবারের প্রতি আপনার রুচি বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি খাবার ঠিকমতো খেতে না পারেন তাহলে মোটা হওয়ার ভাবনা ছেড়ে দিন। খাবারের প্রতি রুচি থাকলে আপনার শরীর পূর্বের তুলনায় উন্নত হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। তবে এই সিরাপটি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন।

আমলকী সিরাপঃ এই সিরাপটি মূলত আমলকি থেকে তৈরি। আমলকি সিরাপ সেবনের ফলে আগের তুলনায় খাবারের প্রতি রুচি বাড়বে। এতে আপনার স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করবে। যে কোন ফার্মেসিতেই এই সিরাপটি পাবেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উত্তম।

আলফালফা প্লাস সিরাপঃ উপরের সিরাপের মতই আলফালফা প্লাস রুচি বৃদ্ধি করে থাকে এবং মোটা হতে সাহায্য করে। আপনারা যদি স্বাস্থ্যবান হতে চান এই সিরাপ খেতে পারেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার শরীরের পরিবর্তন হওয়া শুরু করবে।

মহিলাদের মোটা হওয়ার ঔষধ

ছেলেদের শারীরিক গঠন এর চেয়ে মেয়েদের শারীরিক গঠন আলাদা হয়। দেখা যায় অল্প বয়সে অনেক মেয়েরা রোগা পাতলা হয়। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে মোটা হতে শুরু করে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় অল্প বয়স থেকে শুরু করে কিশোরী বয়স পর্যন্ত চিকনি থেকে যায়। এতে দেখতে অনেক খারাপ লাগে এবং বিভিন্ন সময় মানুষের কাছে হাসির পাত্রী হয়ে যায়। মনে মনে অনেক কষ্ট পায় এসব কথা শুনে এবং বিব্রত বোধ করে। তখন বিভিন্ন উপায় খুঁজতে থাকে যে কিভাবে মোটা হওয়া যায়। 

এ অবস্থায় থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। কেননা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে শরীরের ওজন কম হয়। আপনার যদি শারীরিক কন্ডিশন এমন হয় তাহলে খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। যা আমরা স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ আর্টিকেলের দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় এ আলোচনা করেছি। মোটা হওয়ার ওষুধ সেবনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। তারপরও আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ওষুধের নাম নিচে তুলে ধরা হলো।
  • জেনকোভিট ট্যাবলেট।
  • আয়ুরলেফ প্রিলস ওজন বৃদ্ধির ট্যাবলেট।
  • মাইক্রো স্পোর্ট নিউট্রিশন হাই প্রোটিন মহিলাদের ওজন বৃদ্ধিকারী।
  • মহিলাদের জন্য প্রাকৃতিক ফিড প্রিমিয়াম ওজন বৃদ্ধিকারী ১০০০ Mg ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট।
সতর্কবার্তাঃ এসব ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা আপনার শারীরিক কন্ডিশন এবং অবস্থার উপরে চিকিৎসকেরা ওষুধের ডোজ দিয়ে থাকেন।

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

আমরা জানি, স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মূল। আর এই স্বাস্থ্য কে ধরে রাখতে প্রয়োজন সুষম খাদ্যের উপর নজর দেওয়া। আমাদের মধ্যে যারা অতিরিক্ত মোটা তারা চিকন হতে চায় আবার যারা অতিরিক্ত চিকন তারা আবার মোটা হতে চায়। আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে এবং কি কি খাদ্য গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি করা যাবে। স্বাভাবিকভাবে মানুষ যে খাবার খায় তার চেয়ে যদি অতিরিক্ত খায় তাহলেই মোটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু অনেকের আবার বেশি খাবার খেলেও মোটা হয় না। 
কারণ কি? কারণ হতে পারে তার শারীরিক সমস্যা রয়েছে বা সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে খাবার হয়তো খায় না। আপনি মোটা হতে চাইলে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে তাহলে ধীরে ধীরে মোটা হতে শুরু করবেন। আর যদি ঠিকমতো না খান, অতিরিক্ত টেনশন করেন, ঠিকমতো না ঘুমান তাহলে কোনদিনই মোটা হওয়ার সম্ভব না। এখন চলুন, মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত বিস্তারিত জেনে নেই।
  • ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সকালের খাবার গুরুত্বপূর্ণ। সকালের খাবার সারাদিনের কাজ করার শক্তি যোগায়। সকাল ৯ টার মধ্যে সকালের খাবার খেয়ে নিতে হবে। এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেমন-দুধ, কলা, ডিম, খেজুর ইত্যাদি। তারপর সকাল এবং দুপুরের মাঝামাঝি সময় হালকা নাস্তা করে নিতে হবে।
  • দুপুরের খাবার ১-২ এর মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। এবং দুপুরের খাবারে ভারী খাবার রাখতে হবে। যেমন-মাংস, ডাল ইত্যাদি। এরপর ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। এতে শরীরে বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়। তারপর সন্ধ্যার সময় হালকা নাস্তা করে নিতে হবে।
  • সর্বশেষ রাতের খাবার রাত ৮-৯ টার মধ্যে শেষ করে নিতে হবে। রাতে যে কোন আইটেমের খাবার খাওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হালকা খাওয়ায় ভালো। আর রাতে কখনোই না খেয়ে ঘুমানো যাবে না। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এতে ঘুম ভালো হবে এবং শরীরের জন্য খুব উপকারী।
মনে রাখতে হবে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সময়মতো খাবার খাওয়া এবং সময়মতো ঘুমানো। কখনোই রাত জাগার অভ্যাস করা উচিত না। আর কখনো পেট খালি রাখা যাবে না। এসব খাবারের পাশাপাশি বাদাম,কিসমিস ইত্যাদি খেতে হবে।

শেষ কথা - স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ নিয়ে আলোচনা করেছি। দেখুন স্বাস্থ্য হচ্ছে আল্লাহর দান। তারপরও কিছু নিয়ম-কানুন সঠিক মত পালন করলে স্বাস্থ্য ধরে রাখা সম্ভব। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করা। মোটা হওয়ার প্রয়োজন পড়লে ওষুধের উপর নির্ভর না হয়ে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। এতে আপনাদের শরীর স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url