স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন

মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়আপনি কি ফর্সা হতে চান? স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না? তাহলে আর দেরি না করে আমাদের আজকের লেখা স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন। আজকে আমরা ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন ক্রিম, কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়া যায় তার সকল টিপস সম্পর্কে আলোচনা করবো।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন
ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন ক্রিম রয়েছে। এসব ক্রিম ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার। তাহলে চলুন, স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের লেখা পড়ে জেনে নেই।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম - ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম মেয়েদের

সবাই চাই নিজেকে সুন্দর দেখতে বিশেষ করে নারীরা নিজেকে সুন্দর দেখতে পছন্দ করে। যারা রূপচর্চায় সচেতন তারা কখনোই রূপচর্চার ক্ষেত্রে আপোষ করে না। নারীরা অন্যদের চেয়ে নিজেকে একটু আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে পছন্দ করে। শুধু যে নারীরা পছন্দ করে তা বললে ভুল হবে এর পাশাপাশি ছেলেরাও ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রসাধনের সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। তাই ফর্সা হওয়ার এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসে নানান রকমের প্রসাধনী সামগ্রী। 
যা ব্যবহার করে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ফর্সা হওয়া যায়। কিন্তু বাজারে এসব প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করতে অবশ্যই এর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। কেননা সব ফর্সাকারী ক্রিম কিন্তু সবার স্কিনের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। এসব ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। তাই যখন কিনবেন তখন ভালো মানের কোম্পানির ভালো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নেই ফর্সা হওয়ার ক্রিম, মেয়েদের ফর্সা হওয়ার কিছু ক্রিম সম্পর্কে।
  • Himalaya Herbal Clear complexion
  • Wow Fairness Cream
  • Olay White Residence
  • 03+ Whitening Cream
  • Lotus Herbals White Glow
Himalaya Herbal Clear complexion:
  • এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে ত্বকেএক ধরনের রেডিয়েন্ট নিয়ে আসবে।
  • আপনার ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • ত্বকের ডার্ক সাইকেল প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
  • ত্বক পরিষ্কার রাখে।
Wow Fairness Cream:
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • সূর্য রশ্মির ক্ষতিকারক দিক থেকে সুরক্ষা রাখে।
  • ইচিং সমস্যা দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে।
  • আপনার ত্বকের জন্য এই ক্রিম উপযুক্ত কিনা তা যাচাই করে নিবেন।
Olay White Residence:
  • ত্বকে হোয়াইট রেডিয়েন্ট তৈরিতে সাহায্য করে।
  • স্কিনের ডার্ক স্পট কমাতে সাহায্য করে।
  • খুব দ্রুত ত্বককে ফর্সা করে তোলে।
03+ Whitening Cream:
  • এই ক্রিম সকলের স্কিনের জন্য প্রযোজ্য।
  • সূর্যের আলোর ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
Lotus Herbals White Glow:

  • এই ক্রিম জাফরানের নির্যাসে তৈরী। যা আপনার স্কিনকে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে।
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা রাখে।
  • ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বকে এক্সট্রা গ্লো নিয়ে আসে।
সতর্কবার্তাঃ উপরে ক্রিম গুলো কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কারণ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল প্রসাধনের সামগ্রী রয়েছে। যা ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। আর সবচেয়ে ভালো হয় প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার। কেননা রূপচর্চা বিশেষজ্ঞরা এসব প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। আপনারা জেনে থাকবেন এসব পণ্য বিভিন্ন কেমিক্যাল দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে। যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এসব পণ্য ব্যবহার না করে কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে স্থায়ী ফর্সা হওয়া যায় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। তাহলে চলুন দেরি না করে কি ব্যবহার করে কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • আপেল সাইডার ভিনেগার
  • লেবুর রস
  • মধু ও শসা
  • কাঁচা হলুদ
  • মসুর ডাল
  • টমেটো
আপেল সাইডার ভিনেগারঃ স্কিনের জন্য অনেক উপকারী হল আপেল সাইডার ভিনেগার। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে দুই চামচ আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে মিশ্রণ করুন। এরপর মিশ্রণটি হাত পায়ে লাগিয়ে রাখুন। ২০-৩০ লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন। দেখবেন ত্বকের টানটান ভাব দূর হবে তবে নরম।

লেবুর রসঃ ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখতে লেবুর রস খুবই উপকারী। প্রথমে পরিষ্কার একটি লেবু কেটে পাত্রে রাখুন। এরপর লেবুর রসে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। এরপর ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। যখন শুকিয়ে যাবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে লেবুর রস ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা দিনের বেলায় লাগিয়ে রোদে বের হলে উপকারের চাইতে আরো ক্ষতি হবে। তাই চেষ্টা করবেন রাতের বেলা ব্যবহার করার।

মধু ও শসাঃ আমরা সবাই জানি, মধু ও শসার উপকারিতা সম্পর্কে। ত্বকের উপকারের পেতে প্রথমে শসা কেটে রস বের করুন। এরপর রসের সাথে মধু মিশিয়ে মিশ্রণ করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে হালকা ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ত্বক হবে মসৃণ ও কোমল।

কাঁচা হলুদঃ রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার বহুকাল ধরে চলে এসেছে। ত্বককে ফর্সা করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কাঁচা হলুদ পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে তা মিশ্রণ করুন। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন যদি পারেন রাতে লাগিয়ে রাখবেন।

মসুর ডালঃ কাঁচা হলুদের মতই মসুরের ডাল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বককে ফর্সা করে তোলে। এটি ব্যবহার করতে প্রথমে মসুরের ডাল মিশ্রণ করুন। বেশি উপকার পেতে ডালের মিশ্রণের সাথে মধু মিশিয়ে ২৫-৩০ মিনিট স্কিনে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি মড়া চামড়া গুলো তুলতে সাহায্য করবে।

টমেটোঃ ত্বককে নরম মসৃণ ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে টমেটো ব্যবহার করুন। প্রথমে একটা পরিষ্কার টমেটো কেটে তা ত্বকে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসেজ করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করার ফলে দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বক হবে চকচকে।

কোন ঔষধ খেলে চেহারা সুন্দর হয়

চেহারা সুন্দর করতে কে না চায়। আমরা সবাই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই রূপচর্চার বিষয়ে বেশ মনোযোগী হয়। নিজেকে সুন্দর রাখতে আপোষ করেন না। অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে কোন ওষুধ খেলে চেহারা সুন্দর হয়? আপনাদের কি মনে হয় যে ওষুধ খেলেই চেহারা সুন্দর বা ফর্সা করা সম্ভব। না কখনোই তা সম্ভব না। স্কিন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জানা যায়, পৃথিবীতে এমন কোন ওষুধ নেই যা আপনার ত্বককে ফর্সা করে তোলে। তবে হ্যাঁ কিছু প্রোডাক্ট বা ওষুধ রয়েছে যা খেলে আপনি ফর্সা হতে পারবেন। 

কিন্তু তা পরবর্তীতে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এসব ওষুধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি আপনার একান্ত ব্যবহার করার ইচ্ছে হয় তাহলে অবশ্যই একজন স্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেকোনো ত্বক ফর্সাকারী প্রোডাক্ট বা ওষুধ সেবন করতে পারেন। সবচেয়ে উত্তম হয় প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে আপনার চেহারা সুন্দর করতে পারেন। যা আমরা উপরে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় এ আলোচনা করেছি।

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা জানি, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। লেবুর অনেক উপকারীতার মধ্যে অন্যতম হলো ত্বকের যত্ন। তবে শুধু যে মুখে লাগিয়ে রাখলে হবে তা কিন্তু না তার জন্য জানতে হবে সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে। তাহলে চলুন, লেবু ব্যবহার করে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় তার কিছু উপায় জেনে নেই।
  • প্রথমে একটি লেবু কেটে রস বের করে নিতে হবে। এবার রসের সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। যখন শুকিয়ে যাবে তখন ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও ফর্সা।
  • আগের মতই লেবু কেটে রস বের করে নিন। এরপর লেবুর রসের সাথে ১০ চামচ দুধ মিশিয়ে আলতো করে ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ রাখার পর তা ধুয়ে ফেলুন।
  • ত্বকের তৈলাক্তক ভাব দূর করতে লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ শসার রস মিশ্রণ করে মুখে লাগিয়ে রাখুন।
  • ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হালকা গরম পানির সাথে লেবুর রস, এক চামচ কমলা লেবুর রস সাথে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে ত্বকে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
  • হাত ও পায়ের রুক্ষ ভাব দূর করতে লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ চালের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে হাত ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন। এতে ত্বক হবে মসৃণ ও কোমল।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম দাম

অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চায় ত্বক ফর্সাকারী বিভিন্ন ক্রিমের দাম সম্পর্কে। তাই আপনাদের মাঝে কিছু ত্বক ফর্সাকারী জনপ্রিয় ক্রিমের দাম তুলে ধরলাম।
  • Himalaya Herbal Clear complexion - ৫০ মিলিগ্রাম এর দাম ৪৫০ টাকা।
  • Wow Fairness Cream - ৫০ মিলিগ্রাম এর দাম হাজার ১৮২০ টাকা।
  • Olay White Residence - ৫০গ্রাম এর দাম ২৯৫০ টাকা।
  • 03+ Whitening Cream - ৫০ গ্রাম এর দাম ১২০০ টাকা।
  • Lotus Herbals White Glow - ৩৫ গ্রাম এর দাম ৪২০ টাকা।
  • Garnier Light Complete - ১৮ গ্রাম এর দাম ২৩৫ টাকা।
  • Lakme Vita Papayablem Anti Blemish - ৮৫ গ্রাম এর মূল্য ৫৫০ টাকা।
  • Plum E Luminence Deep Moisturizing - ৫০ গ্রাম এর মূল্য ৮০০ টাকা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরে উল্লেখিত ত্বক ফর্সাকারী যেসব ক্রিমের মূল্য দেওয়া হয়েছে তা বাজারের আপ-ডাউনের কারণে দাম কম বেশি হতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফর্সা হওয়ার জন্য ক্রিম পাওয়া যায়। এসব ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল পণ্য রয়েছে যা ব্যবহার করার ফলে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। আমাদের মতে, ফর্সা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করা উত্তম। এতে কাজও ভালো হবে আর স্কিনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url