সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম ২০২৪

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪আমাদের দেশের অনেক মানুষই রয়েছে যারা সৌদি আরবে থাকে এবং সেখানে গাড়ি চালাতে চায়। আবার অনেক মানুষ সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য পেশা হিসেবে ড্রাইভিং করতে চায়। তবে সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর জন্য সেখানকার গাড়ি চালানোর নিয়ম কানুন জানা খুবই প্রয়োজন। 
সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম ২০২৪
আপনারা যারা সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আজকের এই আর্টিকেল আমরা সৌদি আরবের গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক,

সৌদি রাস্তার কোন পাশে গাড়ি চালায়?

সৌদি আরবে আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকে। আবার অনেক মানুষ রয়েছে যারা কাজ করার জন্য সৌদি আরবে যেয়ে আছে। এছাড়াও অসংখ্য মানুষ সৌদি আরবে যেতে চায় গাড়ি চালিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য। তবে সেখানে গাড়ি চালানোর নিয়ম অন্যরকম। যেকোন মানুষই যদি সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে সৌদি আরবের গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত।
সৌদি আরবের গাড়ি চালানোর যে সকল নিয়ম রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে যে রাস্তার কোন পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আগে জানিয়ে রাখি, আমাদের দেশের গাড়ি চালানোর নিয়ম এবং সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী রাস্তার বাম পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। কিন্তু সৌদি আরবে রাস্তার ডান পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। আমরা সকলেই জানি সৌদি আরব একটি সম্পূর্ণ ইসলামিক কান্ট্রি। 

সৌদি আরব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেশ। সেখানে সকল আইন রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত অনুযায়ী হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন ডানপন্থী অর্থাৎ তিনি ডান হাত দিয়েই বেশি কাজ করতেন এবং ডান হাতকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়েছেন। আমরা কিন্তু ঘড়ি বাম হাতে পড়ি কিন্তু সৌদি আরবের মানুষেরা ঘড়ি ডান হাতে পড়ে। এজন্য সৌদি আরবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডানদিক কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। 

আমরা যারা সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে চাই আমাদেরকে অবশ্যই ডান পাশ পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। আমাদের সকলের জানা রয়েছে সৌদি আরবের আইন অনেক কঠোর হয়ে থাকে। সেখানে আইন ভঙ্গকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। আপনি যদি গাড়ি চালানোর সময় সেখানকার ট্রাফিক আইন মেনে না চলেন তাহলে আপনাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।

সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর বয়স কত?

সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী একটি দেশ। এটি সম্পূর্ণ একটি ইসলামিক কান্ট্রি। অন্যান্য দেশের তুলনায় সৌদি আরবে দুর্নীতির পরিমাণ খুবই কম এবং সেখানে আইন ভঙ্গ কারীদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি প্রদান করা হয়। সৌদি আরবে প্রত্যেকটি কাজের উপর আইন প্রণয়ন করা আছে। সেই অনুযায়ী সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা আছে। সেই আইনগুলো যদি আপনি ভঙ্গ করেন বা অমান্য করেন তাহলে আপনাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। 

আপনি যদি সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর বয়স জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর সর্বনিম্ন বয়স সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর বয়স কত? সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি সেখানে গাড়ি চালাতে চায় তাহলে তার বয়স সর্বনিম্ন ১৭ বছর হতে হবে। আপনার বয়স যদি ১৭ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে পারবেন। 

তবে সৌদি আরবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চাইলে আপনার বয়স ১৮ বছর হতে হবে। বর্তমান সময়ে ছেলে অথবা মেয়ে সকলে সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে পারবে যদি তাদের বয়স ১৭ থেকে ১৮ বছর হয়ে থাকে। আমাদের অনেকেরই জানা নেই যে ২০১৮ সালের পর থেকে সৌদি আরবে মেয়েরাও গাড়ি চালাতে পারে অর্থাৎ তাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশা করি আপনি সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

সৌদি আরবে গাড়ি চালানো কতটা নিরাপদ?

আমরা সকলেই জানি যে সৌদি আরব অন্যতম একটি ধনী দেশ। এমনকি পৃথিবীতে যে সকল ধনী দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সৌদি আরব। যেহেতু সৌদি আরব একটি ধনী দেশ সেহেতু অবশ্যই সৌদি আরবের রাস্তাঘাট অর্থাৎ যানবাহন উন্নতমানের। তবে প্রত্যকটি দেশেই সড়ক দুর্ঘটনা রয়েছে যা কোন দেশে একটু কম আবার কোন দেশে বেশি। তাই আপনি যদি সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে জানতে হবে সেখানে গাড়ি চালানো কতটা নিরাপদ। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক, সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর মাধ্যমে আপনি নিরাপত্তাহীন হতে পারেন ২ টি কারণে। যার প্রথমটি হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা এবং অপরটি হল ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা। এই দুইটি কারণের মাধ্যমেই আপনার কঠোর শাস্তি হতে পারে। যেমনঃ সড়ক দুর্ঘটনার ফলে একজন ব্যক্তি তার প্রাণ হারাতে পারে আবার গুরুতরভাবে আহত হতে পারে। 

বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের সড়ক দুর্ঘটনা একটু বেশি পরিমাণে হচ্ছে। আবার এই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য সৌদি সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। সেই আইনটি হল কোন সড়ক দুর্ঘটনায় যে ব্যক্তির দোষ থাকবে তাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। অর্থাৎ মৃত্যু কিংবা অঙ্গহানির মতো সড়ক দুর্ঘটনা যে ব্যাক্তি ঘটাবে তাকে সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা প্রদান করতে হবে।

তবে এই আইন চালু করার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরবে গাড়ি চালানো অনেকটা নিরাপদ। তবে যেকোনো সময় যে কোন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা আগে থেকে বলা যায় না। বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এই সকল কারণগুলো সম্পর্কে যদি আপনি অবগত থাকেন এবং সকল ট্রাফিক আইন মেনে চলেন তাহলে আশা করা যায় আপনার জন্য সৌদি আরবে গাড়ি চালানো নিরাপদ।

সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম

সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম বলতে বোঝানো হচ্ছে গাড়ি চালানোর জন্য নির্ধারিত আইন বা পদ্ধতি। প্রত্যেকটি দেশেই গাড়ি চালানোর নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে যেগুলোকে ট্রাফিক আইন বলা হয়। সৌদি আরবের ট্রাফিক আইন অনেকটা আমাদের দেশের মতোই তবে আমাদের দেশের তুলনায় সৌদি আরবে আইন ভঙ্গের শাস্তি বেশ কঠিন হয়ে থাকে। তাই যেকোনো ব্যক্তির উচিত সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর আগে গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। 
আপনারা যদি সৌদি আরবের গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের কাছে সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম অর্থাৎ সৌদি আরবের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব। চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। সৌদি আরবের কোন নাগরিক অথবা বাইরের দেশ থেকে আসা পেশারত ব্যক্তি যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে তাহলে তাকে বড় অংকের জরিমানা প্রদান করতে হবে। 

অর্থাৎ সৌদি আরবের অবস্থানরত কোন ব্যক্তি যদি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে তাহলে তার জরিমানা ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি ড্রাইভার এর উচিত ট্রাফিক আইন সঠিকভাবে মেনে গাড়ি চালানো। সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর নিয়ম অর্থাৎ ট্রাফিক আইনের অন্যতম একটি হলো গাড়ি চালানোর ন্যূনতম বয়স। সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুমোদন পেতে চাইলে অবশ্যই চালকের বয়স কমপক্ষে ১৭ বছর হতে হবে। 

তবে কোন ড্রাইভার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চাই তাহলে তার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। সৌদি আরবে বয়সের এই আইনটি নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক। আপনাদের হয়তো অনেকের জানা নেই যে,২০১৮ সালের পর সৌদি আরবে নারীরা ও গাড়ি চালানোর অনুমতি পায়। ২০১৮ সালের আগে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল। সৌদি আরবের ট্রাফিক আইন গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা। 

যে কোন দেশেই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হচ্ছে গাড়ির উচ্চ গতিসীমা। অতিরিক্ত গতির কারণে চালক তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ফলে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। সৌদি আরবের শহরাঞ্চল বা শহরের বাইরের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০-৭০ কিমি/ঘন্টা। এবং হাইওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ১২০ কিমি/ঘন্টা। কেউ যদি এই গতিসীমার থেকে অধিক গতিতে গাড়ি চালায় তাহলে তাকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে ৯০০ সৌদি রিয়াল জরিমানা প্রদান করতে হবে। 

এছাড়াও সৌদি আরবে রাস্তা নিয়ম ভঙ্গ করিলে জরিমানা প্রদান করতে হবে অথবা লাইসেন্স পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে এমনকি ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সৌদি আরবের সাধারণ ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ১০ বছরের কম বয়সী শিশুকে গাড়িতে একা রেখে যাওয়া যাবে না। গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির ড্রাইভার এবং সামনের সিটের যাত্রীদের জন্য সিট বেল্ট বাধা বাধ্যতামূলক। রাস্তার ডান পাশ দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। 

ওভার টেকিং করার জন্য রাস্তার বাম পাশ দিয়ে করতে হবে। তাছাড়া রাস্তার মাঝ বরাবর যদি দুটি শক্ত লাইন থাকে তাহলে সেখানে ওভারটেকিং করা যাবে না। ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি চালকের কাছে থেকে লাইসেন্স এবং আকামা চাওয়া মাত্র তা দেখাতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে কোনভাবে ঘুষ দেওয়া বা দেওয়ার চেষ্টা করা যাবে না।

সৌদি ড্রাইভিং স্কুল

ড্রাইভিং স্কুল বলতে বোঝানো হচ্ছে যেখানে ড্রাইভিং সম্পর্কিত বিস্তারিত শিখানো হয়। অর্থাৎ একটি ব্যক্তি যদি ড্রাইভিং শিখতে চায় তাহলে সে ড্রাইভিং স্কুলে গিয়ে ড্রাইভিং শিখতে পারবে। একটি ব্যক্তির উচিত গাড়ি চালানোর আগে ড্রাইভিং স্কুলে গিয়ে সঠিকভাবে ড্রাইভিং টা শিখে নেওয়া। সঠিকভাবে ড্রাইভিং করার পেছনে ড্রাইভিং স্কুলের ভূমিকা অনেক বেশি। এছাড়াও ড্রাইভিং স্কুল আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে অনেক সাহায্য করবে। আমাদের অনেকেরই জানা রয়েছে যে ড্রাইভিং স্কুল থেকে আপয়েন্টমেন্ট নেওয়া লাগে। 

কিন্তু কিভাবে ড্রাইভিং স্কুল থেকে আপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিভাবে সৌদি আরবের ড্রাইভিং স্কুল থেকে আপনারা আপয়েন্টমেন্ট নিবেন। একজন সৌদি নাগরিক বা বাইরের দেশ থেকে আসা বিদেশি বাসিন্দা সৌদি ড্রাইভিং স্কুল থেকে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট করতে পারবে আবশির প্ল্যাটফর্ম থেকে। নিচে আবশির প্ল্যাটফর্ম থেকে ড্রাইভিং স্কুলের আপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার দাপ গুলো তুলে ধরা হলো;
  • প্রথমত আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট দিয়ে আবশির প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হবে।
  • তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী অ্যাপোয়েন্টমেন্ট পরিষেবা বেছে নিতে হবে।
  • আপনার ট্রাফিক বেছে নিতে হবে।
  • একটি নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক বেছে নিতে হবে।
  • যেকোনো ড্রাইভিং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
  • এরপর আপনার শহর বেছে নিতে হবে।
  • তারপর আপনার আপয়েন্টমেন্ট বুক করার জন্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী তারিখ বেছে নিতে হবে।

সৌদি আরবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে

দিন দিন বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে ফলে বেকারত্ব ও বেড়ে চলেছে। দেশে কোন চাকরি না পাওয়ার কারণে বেকারত্ব ঘচানোর জন্য আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশে মানুষ কাজ করতে যায় তাদের মত অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবে আমাদের দেশের মানুষেরা যে কাজ করে সে কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হল বিভিন্ন যানবাহন চালানো। 

এই যানবাহন চালানোর জন্য যে কোন মানুষের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রচলন রয়েছে। আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনার গাড়িটি হারিয়ে গেলে খুব সহজেই সেই গাড়িটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে আপনার গাড়িটি খুঁজে পেতে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। আবার আমাদের অনেকেরই জানা আছে যে সৌদি আরবে আইন ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। 

যেহেতু ড্রাইভিং লাইসেন্স সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় আইনের মধ্য একটি তাই সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন। তবে আপনি যদি সৌদি আরবের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনার উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা সম্পর্কে বিস্তারিত আগেই জেনে রাখা। সৌদি আরবের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন তা যদি আপনার আগে থেকেই জানা থাকে তাহলে আপনাকে কোনরকম হয়রানি বা বিরম্বনার শিকার হতে হবে না। 

আজকে এই আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক,সৌদি আরবে কি কি ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় তা নিচে দেওয়া হলঃ
  • পাবলিক ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • ব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • মহিলা ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • ভারী যানবাহন ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • কূটনৈতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স।
সৌদি আরবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।নিচে সৌদি আরবের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা তুলে ধরা হলো;
  • ইকামার ফটোকপি।
  • আসল ইকামাহ।
  • আপনার নিজ দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • প্রবাসী হলে অনুমোদিত অনুবাদ ইন্সিটিউট থেকে আরবিতে বিদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুবাদ।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন পত্র।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি।

সৌদি আরবে ড্রাইভার এর বেতন কত?

আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা কাজের জন্য সৌদি আরবের রওনা দিচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষেরা সৌদি আরবের সাধারণত যে সকল কাজগুলো করে থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ড্রাইভিং অর্থাৎ গাড়ি চালানো। অনেকের কাছেই গাড়ি চালানো পছন্দের একটি পেশা।কেননা এই পেশাতে কষ্ট অন্যান্য কাজের তুলনায় কম। তবে যারা সৌদি আরবে ড্রাইভিং করতে চাচ্ছে তারা সবার আগে জানতে চায় যে সৌদি আরবের ড্রাইভিং কাজের বেতন কত। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সৌদি আরবের ড্রাইভিং কাজের বেতন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। একটা মানুষের উচিত অবশ্যই কোন কাজ করতে যাওয়ার আগে সেই কাজের বেতন সম্পর্কে জেনে নেওয়া। নিচে সৌদি আরবের সকল ধরনের ড্রাইভিং কাজের বেতন তুলে ধরা হলো;
  • সাধারণত সৌদি আরবে একজন ড্রাইভার মাসিক বেতন পায় ১৩৫০ রিয়াল। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩০ হাজার টাকার বেশি।
  • সৌদি আরবে যারা প্রাইভেট কার ড্রাইভ করবে তাদের বেতন ১২০০-১৪০০ রিয়াল।
  • যারা সৌদি আরবে প্রাইভেট কার ব্যতীত অন্যান্য গাড়ির ড্রাইভ করবে তাদের বেতন ১২০০-১৫০০ রিয়াল।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনারা সবাই জানেন বিদেশে অন্যান্য ভিসার চেয়ে ড্রাইভিং ভিসার চাহিদা বা বেতন অনেক বেশি। তাই অনেকে বিদেশে ড্রাইভিং করতে পছন্দ করে। কিন্তু ড্রাইভিং করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় এবং সে দেশের ড্রাইভিং করার জন্য বিভিন্ন রকম নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকতে হয়। তাই আশা করছি আমাদের আজকের লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে সৌদি আরবে গাড়ি চালানোর সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url