কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান ১০টি

বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সবুজ শ্যামলে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশ। আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশে রয়েছে হাজারো দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থান। সবুজে ভরা আমাদের দেশের এই সৌন্দর্য দেখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে থাকে। আমাদের দেশে যে সকল দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে তাদের মধ্য থেকে সেরা স্থান নির্বাচন করা অনেক কঠিন। তবুও অনেক তর্ক বিতর্ক শর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর দর্শনের স্থান হল কক্সবাজার অর্থাৎ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। 
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান ১০টি
একটি দেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা নিয়ে সেই দেশের মানুষ এবং অন্যান্য দেশের মানুষের মনেও অনেক প্রশ্ন থাকে। আপনারা যারা কক্সবাজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি অনেক সহায়ক হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কক্সবাজার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক,

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত

বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা প্রত্যেকটি মানুষ আমাদের দেশের অন্যান্য দর্শনের স্থানের নাম শুনুক বা না শুনুক তারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম অবশ্যই শুনেছে। এমনকি বাংলাদেশে ও বাইরের অনেক দেশের মানুষের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করা স্বপ্ন হয়ে আছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র অথবা পর্যটন জেলা হল কক্সবাজার জেলা। কক্সবাজার জেলায় পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ বালুময় সমুদ্র সৈকত সহ রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। কক্সবাজার জেলা চট্টগ্রাম শহর হইতে ১৫২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করে আছে। 

কক্সবাজার জেলার এত দর্শনের স্থান এবং ঐতিহাসিক স্থান সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক খাবারের ভিড়ে কোন কারণে কক্সবাজার বিখ্যাত অর্থাৎ কিসের জন্য কক্সবাজার বিখ্যাত সেই প্রশ্ন আমাদের অনেকের মাথাতেই আসে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব। কক্সবাজার জেলা মূলত দুইটি কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে যার একটি হল কক্সবাজারের বিখ্যাত ঐতিহাসিক খাবার এবং অপরটি হল পৃথিবীর সবথেকে বড় বালুময় সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবার গুলো খাওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করতে আসে। কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইলিশ মাছের মালাইকারি,লইট্টা ফ্রাই,মুন্ডি,চিকেন ফ্রাই,চিংড়ি ভাজা,মধু ভাত,মোচা ভাত,বাঁশখালীর খিচুড়ি,বৈদ্যনাথ ঝিঙ্গা,চিকেন লাকসু,কাকড়া ভুনা ইত্যাদি। এ সকল খাবার গুলো বিশেষ করে শুধুমাত্র কক্সবাজারে পাওয়া যায় এবং খাবারগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু। 

এছাড়াও কক্সবাজার বিখ্যাত হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতটি ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৫ কিলোমিটার প্রস্থ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পুরোটাই সাদা বালুতে তৈরি এবং যা দেখতে অত্যন্ত স্বচ্ছ হয়ে থাকে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কাটাসহ এখানে সূর্য অস্ত এবং সূর্যোদয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ ভ্রমণ করতে আসে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কক্সবাজার কি কারণে বিখ্যাত।

কক্সবাজার থেকে ইনানী ভাড়া

কক্সবাজারে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত ব্যতীত অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কক্সবাজার শহরের মধ্যে অবস্থিত দর্শনে স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইনানী সমুদ্র সৈকত। এটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি অংশ হয়ে আছে। ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যে সকল মানুষ কক্সবাজারের ভ্রমণ করতে আসে তারা শুধুমাত্র কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখতে আসে না বরং কক্সবাজারে আশেপাশে যে সকল দর্শনের স্থান রয়েছে সেই সকল দর্শনের স্থানগুলো তারা ভ্রমণ করে থাকে। 

কক্সবাজার জেলার ভ্রমণ করার মত একটি অন্যতম স্থান হলো ইনানী সমুদ্র সৈকত। যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করে তারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ইনানী সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যায়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য সব সময় খোলা জিপ পাওয়া যায়। এই জীপ গুলো মানুষের কাছে অনেক পছন্দের হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য বাগানের তুলনায় জীপ করে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে চাইলে ভাড়া একটু বেশি লাগে। 

এই জীপগুলোতে অনায়াসে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ যেতে পারে। যে সকল মানুষ জিপে করে ইনানী যায় তারা মূলত জীপ গুলো রিজার্ভ নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে খোলা জিপের ভাড়া ১৫০০-২৫০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও অটোরিকশা অথবা ইজিবাইকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায় এবং সে ক্ষেত্রে সিজন ভেদে ভাড়া ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার আপনি চাইলে সিএনজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ইনানী সমুদ্র সৈকতে যেতে পারবেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ভাড়া কত

সেন্ট মার্টিন সমুদ্র সৈকত আমাদের অনেকেরই প্রিয়। নীল পানির এই সমুদ্র সৈকটটি দেখার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ সেখানে ভ্রমণ করে থাকে। তবে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণকারী পর্যটকদের মাঝে বেশিরভাগ পর্যটক রায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র উপায় হল জাহাজ।

জাহাজের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে যাওয়া আসার ভাড়া জনপ্রতী ৬৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কক্সবাজার থেকে যে সকল জাহান সকালে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তারা সাধারণত দুপুর বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে সেন্ট মার্টিন পৌঁছে যায়।

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত কক্সবাজার জেলা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর বা জেলা হল কক্সবাজার জেলা। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি রয়েছে অনেক ভ্রমণ করার মত দর্শনীয় স্থান। কক্সবাজারের আগের নাম কক্সবাজার ছিল না। কক্সবাজার নামকরণ করা হয় তৎকালীন ব্রিটিশ ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হীরাম কক্সের নামে। সেই ক্যাপ্টেন হীরাম কক্সের নামে এই স্থানের নাম রাখা হয় কক্সবাজার। 

১৯৭৩ সালে ক্যাপ্টেন হেরাম কক্স বাংলার গরনারোয়ারেস্ট এর অধীনে পালংকের মহাচালক নিযুক্ত হলে তিনি সেখানে একটি বাজার তৈরি করতে চান এবং সে বাজারের নাম দেন কক্স সাহেবের বাজার। পরবর্তীতে এই কক্স সাহেবের বাজার থেকে এই স্থানের নাম হয় কক্সবাজার। কক্সবাজার জেলার ইতিহাস অনেক বড় এবং সমৃদ্ধ। কক্সবাজার জেলার আয়তন প্রায় ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার এবং এই জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হলো পর্যটক এবং কৃষি ও মৎস্য। 

এতক্ষণ আমরা কথা বললাম কক্সবাজারের ইতিহাস নিয়ে এবং এবার আমরা আলোচনা করব কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে। কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র এবং এখানে অনেক দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেই দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান গুলোর মধ্য থেকে কিছু সেরা দর্শনীয় স্থানগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃ কক্সবাজার জেলা একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এবং সেই পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ হল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫৩ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত এবং এর দীর্ঘ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার ও ১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত। এটি পৃথিবীর সবথেকে বড় বালুময় সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মূল আকর্ষণ হল এটি সাদা বালু দিয়ে তৈরি এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ। এছাড়াও সাঁতার, সূর্য স্নান সহ বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য অসংখ্য পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করতে আসে।

মহেশখালী দ্বীপঃ কক্সবাজার জেলার একটি অন্যতম দ্বীপের নাম হল মহেশখালী দ্বীপ। মহেশখালী দ্বীপ কক্সবাজার শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে।

ইনানী সমুদ্র সৈকতঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি অংশ হলো ইনানী সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যে সকল লোক ভ্রমণ করতে আসে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ইনানী সমুদ্র সৈকতেও ভ্রমণ করে। কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এই ইনানী সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত।

সোনা দিয়া দ্বীপঃ কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার অন্যতম একটি জনপ্রিয় দিন। পর্যটকদের কাছে নীল সমুদ্র ও সুন্দর সৈকতের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপ বিখ্যাত।

দ্বীপের বাজারঃ মূলত দ্বীপের বাজারটি কক্সবাজার জেলার মধ্যে খাবারের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার জেলার সকল সুস্বাদু খাবার এই দ্বীপের বাজারে পাওয়া যায়। কক্সবাজার শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত এই দ্বীপের বাজার।

হিমছড়িঃ কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন কেন্দ্র। হিমছড়িতে কিছু সুন্দর সুন্দর পাহাড় রয়েছে। তাই হিমছড়ি মূলত এই পাহাড় এবং সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত।

বার্মিজ বাজারঃ দ্বীপের বাজারের মতো বার্মিজ বাজারও সেখানকার সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। এটি কক্সবাজার শহরের একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

কক্সবাজার জাদুঘরঃ কক্সবাজার জেলার ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করার সর্বোত্তম স্থানটি হল কক্সবাজার জাদুঘর। এখানে গেলে কক্সবাজারের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়। কক্সবাজার জেলার অন্যতম এই জাদুঘরটি কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

সেন্টমার্টিন দ্বীপঃ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ। এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ নীল সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণকারী ব্যক্তিরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করে থাকে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করার একমাত্র উপায় হল জাহাজ।

রামুর ঐতিহাসিক মসজিদঃ কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামুর ঐতিহাসিক মসজিদ। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি কক্সবাজারের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদ তার সুন্দর স্থাপত্যের কারণে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছে।

আমরা উপরে যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম তুলে ধরেছি এগুলো কক্সবাজার জেলার অন্যতম কিছু দর্শনীয়। এছাড়াও ছেড়া দ্বীপ, নাফ আইসল্যান্ড, কুতুবদিয়া আইসল্যান্ড সহ বেশ কিছু দ্বীপ এবং দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।

৫০০ টাকায় কক্সবাজার হোটেল

প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করার জন্য অসংখ্য মানুষ কক্সবাজারে আসে। এই সকল মানুষ কিন্তু একদিনের জন্য বা দিনকার দিন ভ্রমণ করার জন্য আসে না। যারা কক্সবাজার যায় তাদের বেশিরভাগ মানুষই প্রায় এক সপ্তাহের ভ্রমণে যায়। এখন সেখানে থাকার জন্য অবশ্যই পর্যটকদের হোটেলে থাকতে হবে। কক্সবাজারে অসংখ্য হোটেল রয়েছে। অনেক নামিদামি হোটেল রয়েছে যেগুলোকে ফাইভ স্টার হোটেল বলা হয়। তবে এই হোটেল গুলোতে থাকতে গেলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। 

অনেক মানুষ রয়েছে যারা অল্প টাকার মধ্যে সেখানে রাত পার করতে চায়। আবার অনেকে চিন্তা করে ৫০০ টাকায় কি কক্সবাজারে হোটেল পাওয়া যায়? আপনারা যারা ৫০০ টাকায় কক্সবাজারে হোটেল খুজতেছেন অথবা জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে জানিয়ে রাখি যে ৫০০ টাকা দিয়ে কক্সবাজারে হোটেল পাওয়া যাবে। কক্সবাজারে ৫০০ টাকা দিয়ে যে হোটেল পাওয়া যাবে সেই হোটেলের নাম হচ্ছে আল সাফা হোটেল এবং হোটেলের মোবাইল নাম্বার ০১৭৪০৭০৫২০২। 

এই হোটেলে আপনারা চারজন মিলিত হয়ে থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে চারজন মিলিত হয়ে থাকলে জনপ্রতি ১২৫ টাকা করে হোটেল ভাড়া পড়বে। এই হোটেলটি নন এসি হোটেল তবে অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। হোটেলের একটি রুমে রয়েছে দুইটি দুইজন করে থাকার জন্য খাট এবং সাথে আছে দুইটি ফ্যান। আপনারা কেউ যদি কক্সবাজারে ৫০০ টাকা দিয়ে হোটেলে থাকতে চান তাহলে এই হোটেলে থাকতে পারেন এবং হোটেলটি বুক করার জন্য উপরে নাম্বারে কল করতে পারবেন।

কক্সবাজার হোটেল বুকিং ২০২৪

আমাদের মধ্যে অনেকেই কক্সবাজারে ভ্রমণের চিন্তা করতেছে। আবার এই কক্সবাজারে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে অনেকেই আগে থেকেই হোটেল বুকিং করে রাখার চিন্তাভাবনা করতেছে। যারা হোটেল আগে বুকিং করতে চাচ্ছে তাদের অবশ্যই সে হোটেলের নাম এবং মোবাইল নাম্বার জানা দরকার। নাম এবং মোবাইল নাম্বার ছাড়া কখনোই আগে থেকে হোটেল বুকিং করা যাবে না। তাই আপনারা যারা কক্সবাজারে বিভিন্ন হোটেলের নাম এবং মোবাইল নাম্বার খুজতেছেন তাদের জন্য নিচে কক্সবাজারের বেশ কিছু হোটেল এবং সে হোটেলের মোবাইল নাম্বার দেওয়া হলোঃ
  • কক্স ইন হোটেলের মোবাইল নাম্বারঃ ০৩৪১৫১২৯০
  • গ্র্যান্ড বিচ রিসোর্ট কক্সবাজার এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭২০৩৫৫৯৯১
  • হোটেল মেরিন প্লাজা এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১ ০০০৪৫৮০
  • হোটেল সি প্যালেস এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭১৪৬৫২২২৭
  • সেন্ট মার্টিন রিসোর্ট এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৬১৯৮০৯০৫৭
  • কক্স ভিউ রিসোর্ট এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮২৭২৮৮৮৬৯
  • সি ওয়েলকাম হোটেল মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭০৭৮৫৪৫৬৫
  • রয়েল বিচ রিসোর্ট এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭০৮৭৭৭৭৭৪
  • হোয়াইট অর্কিট হোটেল এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৩৯৬৫৮৭৪৩
  • হোটেল গোল্ডেন হিল এর মোবাইল নাম্বারঃ ২৩৩৩৩৪৬৮৯০
  • হোটেল রিগাল প্যালেস এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৭২৩৬৬৩৬৬
  • হোটেল ইলাপ ইন্টারন্যাশনাল এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭২৬০০০০৭৭
  • হোটেল অপেরা ওশান এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭২০২৫৪৬৬৯
  • ডিজাইন ইকো রিসোর্ট এর মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯৫৮০৫৪৪১১

সর্বশেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ, কক্সবাজার আমাদের দেশের সবচেয়ে সুন্দর দর্শনীয় স্থান এবং সেই হিসেবে আমাদের সকলেরই সেখানে ভ্রমণ করতে যাওয়া উচিত। তবে ভ্রমন করতে গিয়ে সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে নিজেদের কোন ক্ষতি না হয়ে যায়। কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অনেক প্রশ্ন থাকে। 

তবে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যদি আপনাদের কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার বন্ধুদের কাছে দেখা হবে পরবর্তী কোনো টপিক নিয়ে। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url