ডালিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

শীতকালে সবজির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনআপনারা ডালিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। অতি পুষ্টিগুণ ভরপুর ডালিম এ কি কি ভিটামিন থাকে, ডালিম খাওয়ার নিয়ম, ডালিম এর উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের ডালিম এর উপকারিতা আর্টিকেলটি পড়ুন।
ডালিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
ডালিম প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, এবং খনিজ সমৃদ্ধ। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনেক সময় আবার ডালিম খেলে ক্ষতিও হয়। কি কি উপকার পাওয়া যায় এবং ক্ষতি হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডালিম এর উপকারিতা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

ডালিম এ কি কি ভিটামিন থাকে

ডালিম মজাদার এবং পুষ্টিকর একটি ফল। যা বছরের প্রায় সবসময়ই পাওয়া যায়। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ, আয়রন ইত্যাদি রয়েছে। আপনারা কি জানেন? ডালিমের যে ফসফরাস রয়েছে তা কমলা, আপেল এবং আমের চেয়েও চার গুণ বেশি এবং আঙ্গুরের চেয়েও দ্বিগুণ। চলুন জেনে নেই, আহার উপযোগী ১০০ গ্রাম ডালিমে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত পুষ্টিবিদদের মতে,
  • প্রোটিন ১.৬ গ্রাম।
  • শর্করা ১৪.৫ গ্রাম।
  • ফ্যাট ০.১ গ্রাম।
  • ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম।
  • ফসফরাস ৭০ মিলিগ্রাম।
  • আয়রন ০.৩ মিলিগ্রাম।
  • ভিটামিন সি ১৪ মিলিগ্রাম
  • এবং খাদ্য শক্তি ৬৫ কিলোক্যালরি।
  • তবে অনেক ক্ষেত্রে ডালিমের উপরিউক্ত পুষ্টি উপাদান জাত এবং মানের উপর আলাদা হতে পারে।

ডালিম ও বেদানার পার্থক্য

ডালিম, বেদেনা বা আনার এর বৈজ্ঞানিক নাম Punica Granatum। ইংরেজি নাম হল; Pomegranate। এটি Lythraceae পরিবারের Punica গণের অন্তর্ভুক্ত ফলের গাছ। এ ফলকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষার মানুষ বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে। যেমন-হিন্দুস্তান, ফারসি ভাষায় এ ফলকে আনার বলে থাকে। সংস্কৃত এবং নেপালি ভাষায় এ ফলকে দারিম বলা হয়। আবার বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ডালিমকে বেদনা বলা হয়। পাঞ্জাব এবং কাশ্মীরে এ ফলকে বেদনা বলে চিনে। 
মধ্যপ্রাচ্যসহ উত্তর ও গ্রীষ্মমন্ডলীর আফ্রিকা, ইরান এবং ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্য এশিয়া জুড়ে ব্যাপকভাবে ডালিম চাষ করা হয়। এ ফলকে আমরা বেদনা, আনার,ডালিম যে নামেই ডাকি না কেন একই ফল। শুধু ডালিমের দানার রং গোলাপি হয় আর বেদানার দানার রং একটু লাল বেশি হয়। তবে ডালিমের তুলনায় বেদানার আকার একটু বড় হয় এবং স্বাদেও মিষ্টি হয়। ডালিমের উন্নত জাতকে বেদনা বলা হয়।

ডালিম এর উপকারিতা

টসটসে দানার গোলাপি বর্ণের রসে ভরা একটি ফল ডালিম। ডালিম দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু। ডালিম ফলে অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। ডালিম দামে বেশি হওয়ায় অনেকেই এ ফল কিনে খেতে পারেন না। এতে ডালিমের যে উপকার তা থেকে অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত হয়। ডালিম গ্রহণে স্বাস্থ্যের জন্য যে কতটা উপকারী তা সম্পর্কে যদি মানুষ সঠিকভাবে জানতো তাহলে চেষ্টা করত নিয়মিত ডালিম খাবারের তালিকায় রাখার। 
তাহলে চলুন, দেরি না করে আমাদের শরীরের অত্যন্ত উপকারী একটি সুস্বাদু ফল ডালিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ।
  • হাড়ের ব্যথা দূর।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
  • রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বৃদ্।।
  • ডায়াবেটিস।
  • কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
  • হজমে সহায়তা।
  • মুখের জীবাণু ও দাঁতের ক্ষয়।
  • ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখ।।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ শরীরকে সুস্থ রাখতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই চেষ্টা করবেন নিয়মিত ডালিম খাওয়া।।

হাড়ের ব্যথা দূরঃ আপনারা যারা হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডালিম খেলে উপকার পাবেন। ডালিমে রয়েছে এলাজিটানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের আর্থ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ হৃদরোগের ঝুঁকি ও কমাতে নিয়মিত ডালিম খেতে পারেন। ডালিম শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। ফলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ নিয়মিত ডালিম খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। যাদের ভুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে বা কোন কিছু সহজে মনে রাখতে পারে না এই ফল খেলে স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। বিশেষ করে অ্যালঝেইমার্সের এবং পারকিনসন রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। এজন্য শিশুদের নিয়মিত ডালিম খাওয়াবেন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বৃদ্ধিঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে খুব ভালো কাজ করে ডালিম। ডালিমের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা এই কাজ করতে সাহায্য করে। ডালিম খেলে রক্তশূন্যতা সহ রক্তের যেকোন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসঃ ডালিম মিষ্টি জাতীয় ফল হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞরা ডালিম ফলকে প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবেও বলে থাকেন। তাই ডায়াবেটিস হলেও আপনারা নিশ্চিন্তে ডালিম খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উচিত।

কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়ঃ ২০১৪ সালের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডালিমের যে নির্যাস তা রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।

হজমে সহায়তাঃ ডালিম ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমের সমস্যা দূর করতে পারে।

মুখের জীবাণু ও দাঁতের ক্ষয়ঃ ডালিমে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মুখের জীবাণু ও দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে।

ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখেঃ আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে ডালিম অনেক উপকার করে। নিয়মিত ডালিম খেলে পোমেগ্যানেট অয়েল ময়েচ্ছারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে এবং ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এবং ডালিমের থাকা ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড, ট্যানিন ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিয়মিত ডালিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ ডালিমি রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের উৎস। যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন এক ধরনের পুষ্টিকর খাবারের দিকে পরিবারের লোকজন নজর দিয়ে থাকেন। এসব পুষ্টিকর ফল গ্রহণের মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করতে সহায়তা করে। এবং গর্ভের সন্তানও সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই এসব পুষ্টিকর ফলমূলের মধ্যে গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ডালিম। ডালিমে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ভিটামিন এবং খনিজ যা গর্ভাবস্থায় দেহে সরবরাহ হয়ে থাকে। 
ডালিম গর্ভাবস্থায় ঠিক প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। অনেক চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা বলে থাকেন, গরবস্থায় ডালিমের দানা খাওয়া এবং এর রস পান খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শুধু এর নির্যাস খাওয়া উচিত না। তাহলে চলুন, ডালিম এর উপকারিতা আর্টিকেলের গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি জেনে নেই।
  • গবেষণায় দেখা গেছে, ২৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ডালিম খাওয়ানোর ফলে মৌখিক এবং ভিজুয়াল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই গর্ব অবস্থায় ডালিম খেলে গর্ভের সন্তানের স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে।
  • অনেক সময় গর্ববস্থায় মায়ের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ডালিম এর রস খেলে গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
  • ডালিম ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় গর্ভবতী মহিলার কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম জনিত সমস্যাগুলো দূর করতে খুব উপকারী।
  • ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হলো ডালিম। একজন গর্ভবতী মহিলার ভিটামিন সি প্রয়োজনীয় পরিমাণ থাকা অপরিহার্য। এই ভিটামিনটি গ্রহণ করার ফলে খাদ্য উপাদান থেকে আয়রন সংশ্লেষণের সহায়তা করে। আপনি যখন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাবেন তখন আপনার রক্তের পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন জমা হবে। যার ফলে আয়রন এবং ভিটামিন সি আপনার দেহে আয়রন ঘাটতি জনিত অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি দূর করতে সহায়তা করবে।
  • গর্ভবতী মহিলা ডালিমের রস পান করলে দেহে পটাশিয়ামের সরবরাহ নিশ্চিত করে। যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য জরুরী। ডালিমের রস পান করার ফলে গর্ভাবস্থায় সম্পর্কিত স্ক্যাম্প লাগা বা টান লাগা থেকে স্বস্তি দিতে পারে।
  • এক গ্লাস ডালিমের রস খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে ফোলেট এর ঘাটতি পূরণ করবে। ফোলেট আপনার গর্ভে থাকা সন্তানের নিউরাল টিউব এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের বিকাশকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
  • ডালিম এ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডালিম এ উপস্থিতি এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুলো কোষের যেকোনো ক্ষতি পূরণ করতে সহায়তা করে এবং শিশুর মস্তিষ্ক রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ডালিম খেলে কি ক্ষতি হয়

আপনারা লক্ষ্য করবেন যখন কোন ব্যক্তি অসুস্থ হন তখন কিন্তু অনেকে ডালিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণটা কি? কারণ, যেন আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিন্তু বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে জানতে হবে। স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারী হওয়া সত্ত্বেও কিছু ক্ষেত্রে এ ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যর উপকারের চেয়ে ক্ষতি ও হতে পারে। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক, ডালিম খেলে কি ক্ষতি হয়?

ত্বকের এলার্জিঃ যাদের ত্বকের এলার্জি রয়েছে তাদের ডালিম খাওয়া উচিত না। আপনারা জানেন ডালিম খেলে রক্ত বাড়ে। এ অবস্থায় যদি আপনার ত্বকে এলার্জি থাকে তাহলে যদি ডালিম খান আপনার শরীরে লাল গোটা বের হতে পারে।

মানসিক রোগঃ যেসব মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং মানসিক রোগের জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবন করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে ডালিম বা বেদেনা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সর্দি কাশিঃ ডালিম বা বেদনা যেহেতু ঠান্ডা জাতীয় ফল। সেক্ষেত্রে বেশি ডালিম খাওয়া পড়লে ঠান্ডা লাগার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ফলে সর্দি কাশি আরো বাড়তে পারে।

শেষ কথা - ডালিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল ডালিম সম্পর্কে ডালিম এর উপকারিতা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, আপনারা পুরোপুরি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে নিয়মিত ডালিম খেলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ডালিম রাখার। সুস্থ শরীর, সুস্থ মস্তিষ্ক বজায় রাখতে ডালিম খান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url