চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩

প্রিয় পাঠক,আপনারা চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকে আমরা চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ আর্টিকেলের মাধ্যমে চর্মরোগের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে জানবো। তাই চর্ম রোগ থেকে মুক্তির জন্য চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ আর্টিকেলটি মনোযোগসহ বিস্তারিত পড়ে ফেলুন।
চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩
আমরা সবাই জানি,চর্মরোগ বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। এর মধ্যেও অনেক চর্মরোগ রয়েছে যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই নিচে আমরা চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ আর্টিকেলের মাধ্যমে চর্মরোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩

ভূমিকা

চর্মরোগকে আমরা ইংরেজিতে স্কিন ডিজিস বলে থাকি। বহির বিশ্বে চর্ম রোগের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। চর্মরোগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এবং এর কারণও বিভিন্ন রকম।চর্মরোগ সাধারণত জিনগত, ভিটামিন,ব্যাকটেরিয়ারজনিত সমস্যা,রাসায়নিক পদার্থ,পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ওষুধ সেবন,এবং অপরিচ্ছন্ন সহ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। চর্ম রোগের উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে লক্ষ্য করা যায়। কিছু চর্মরোগ আছে অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়। এবং তা দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
চর্ম রোগের কারণে দেহে জ্বালাপোড়া,ক্ষত,ফুসকুড়ি ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়। চর্মরোগ হওয়ার জন্য অনেকাংশে আমরা নিজেরাই দায়ী। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং সচেতন এর অভাবের ফলে চর্মরোগের মত ব্যাধি আমাদের হয়ে থাকে। এজন্য আমাদের সকলকে চর্মরোগ এর কারণ লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা উচিত। তাহলে আমরা খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে খুব দ্রুত সুস্থ হতে পারবো।

চর্মরোগ হওয়ার কারণ

চর্মরোগ আমাদের দেহে একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং বড় সমস্যা। চর্মরোগ হলে সহজে ভালো হয় না। চর্মরোগ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। আজকে আমরা জানবো চর্মরোগ হওয়ার কারণ গুলো কি কি হতে পারে। নিচে তা তুলে ধরা হলো;
  • বেশি সময় ধরে প্রচন্ড রোদে থাকলে চর্মরোগ হতে পারে।
  • যেসব অ্যান্টিবায়োটিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে তা খেলে ত্বকের রোগ হতে পারে।
  • ভিটামিন সি এর অভাবেও চর্ম রোগের সম্মুখীন হতে পারেন।
  • ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বকের উপরের স্তরে গঠন বিকৃতি ঘটে থাকে।
  • সাবানে অতিরিক্ত সোডা থাকলে এ রোগ হতে পারে। অথবা অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলেও হয়ে থাকে।
  • মেয়েদের চর্মরোগ হওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা।
  • ভিটামিন ডি এর অভাব হলেও চর্মরোগ হতে পারে। সোরিয়াসিস ও একজিমা হয় ভিটামিন ডি এর অভাবে।
  • জামা কাপড় অপরিষ্কার পরিধান করার ফলেও হতে পারে।
  • অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত গরম খাদ্য এবং তেল যুক্ত ভাজাপোড়া খেলে ব্রণ ও ফোঁড়া বের হতে পারে।
  • পানি কম পান করার ফলে হতে পারে।
  • ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে।
  • ওষুধ খাদ্য এবং পোকামাকড়ের কামড় থেকে এলার্জি হয়।
  • বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের ফলে চর্মরোগ হয়।

চর্মরোগ কত প্রকার

আপনার দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সৌন্দর্যের প্রতীক বলা হয় ত্বককে। বিভিন্ন রকমের চর্ম রোগ আছে যার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য কে নষ্ট করে ফেলে। আজকে আমরা জানবো চর্মরোগ কত প্রকার বা কত ধরনের। চর্মরোগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • ব্রণ
  • সোরিয়াসিস
  • একজিমা
  • আমবাত
  • ইম্প্যাটিগো
  • গোলকৃমি
  • পাঁচড়া ইত্যাদি।
এবার চলুন নিচে আমরা এসব  চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ব্রণঃ চর্ম রোগের মধ্যে অন্যতম সাধারণ হল ব্রণ। আপনার ত্বকের সেবাসিয়াস নামক গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। যখন সেবাসিয়াস গ্রন্থি নালীর মুখ বন্ধ হয়ে যায় তখন সেবাম নিঃসরণ এ বাধাগ্রস্ত হয়। এবং তা আস্তে আস্তে ভিতরে জমে ফুলে ওঠে যাকে আমরা ব্রণ বলি। ব্রণ হয় সাধারণত বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্তক যুক্ত ভাজাপোড়া খেলে,বয়সন্ধিকাল এর কারণে,অ্যালকোহল পান করার কারণে,এছাড়াও বংশগত কারনেও হতে পারে।

সোরিয়াসিসঃ সোরিয়াসিস এক ধরনের চর্মরোগ। এই রোগের কারণে শরীরে লাল লাল ছোপযুক্ত এবং রুপালি অংশের মতো ত্বক হয়। এসব ছোপযুক্ত কারণে শরীরে চুলকানি বা ঘা হতে পারে।এগুলি সাধারণত হয় শরীরের হাঁটু,কনুই এছাড়াও পিঠের নিচের অংশে হয়ে থাকে। এই ধরনের সোরিয়াসিস চর্ম রোগের কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

একজিমাঃ একজিমা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। এবং একজিমা দীর্ঘস্থায়ী একটি চর্মরোগ। একজিমার বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। যেমনঃ শুষ্ক ত্বক,চুলকানি হয়,হাত,পায়ের পিছনে,হাঁটুতে,এবং মুখে ফুসকুড়ি লক্ষ্য করা যায়। একজিমা হলে অতি দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। কারণ একজিমা থেকেবড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

ইম্প্যাটিগোঃ ইম্প্যাটিগো এক ধরনের ত্বকের সংক্রামণ। এটা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে ছড়িয়ে থাকে। যা শরীরের বিভিন্ন কাটা ছেঁড়া অংশের মাধ্যমে দেহের ভিতর প্রবেশ করে থাকে। ইম্প্যাটিগো কে বলা হয় ছোট ছোট বাচ্চাদের অর্থাৎ দুই থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের ত্বকের সংক্রামক রোগ।

পাঁচড়াঃ পাঁচড়া এক ধরনের সংক্রামক চর্মরোগ। পাঁচড়া হলে প্রচন্ড চুলকানি হয়ে থাকে। এটি সাধারণত দিনের চেয়ে রাতে বেশি বাড়তে থাকে। এবং চুলকানির ফলে ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। এছাড়াও রয়েছে বলিরেখা,রোসেসিয়া,লাইকেন স্কেলোরসিস ইত্যাদি।

গোলকৃমিঃ গোলকৃমি এক ধরনের ছত্রাক জনিত এবং ছোঁয়াচে রোগ। গোলকৃমি শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিতে পারে। এর ফলে হাত ও পায়ের উপরে অংশে লাল রঙের খসখসে গোলাকার লক্ষ্য করা যায়।

আমবাতঃ আমবাতের ফলে সাধারণত ত্বকে লাল লাল গোটা গোটা উঠবে এবং সাথে চুলকানিও হবে। এই চর্মরোগকে বলা হয়ে থাকে খাদ্য বা ওষুধের প্রতি অ্যালার্জিক।

চর্মরোগের লক্ষণ

সারা বিশ্বে চর্মরোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। যেহেতু চর্মরোগ অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। আমরা জানি চর্মরোগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তাই এর লক্ষণগুলো বিভিন্ন রকমের হয়।এজন্য চর্মরোগ সম্পর্কে বা লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। তাই আপনাদের জন্য চর্ম রোগের লক্ষণ গুলো কি কি তা নিচে তুলে ধরা হলো।
  • দেহের কোন নির্দিষ্ট স্থানে ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া (বেশি সাদা বা বেশি কালো হয়ে যাওয়া)
  • ত্বকের মধ্যে দানা দানা হয়ে যাওয়া
  • গোটা বা ফুসকুড়ি উঠা
  • ত্বকের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি
  • ত্বকের বিভিন্ন স্থানে শক্ত বা পাতলা হয়ে যাওয়া
  • ত্বকে ক্ষত বা ঘাঁ হওয়া
  • ক্ষত থেকে আঠালো দুর্গন্ধ পানি পড়া
  • প্রচন্ড ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া করা
  • ত্বকের চুল পড়ে যাওয়া

চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩

চর্মরোগ এক ধরনের ছত্রাক জনিত রোগ। যা ছত্রাকের সংক্রমনের ফলে হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে চর্মরোগ সাধারণত খুব দ্রুত বা অল্প সময়ে উপসর্গ নিয়ে আসে। এবং কিছু কিছু চর্মরোগ রয়েছে যা আমাদের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এবং যারা চর্মরোগে আক্রান্ত হয় তাদের অনেক কষ্ট হয় এবং চর্মরোগ থেকে রক্ষার জন্য উপায় খুঁজতে থাকে।
তাই যত সম্ভব চর্ম রোগের চিকিৎসা করা উচিত। এজন্য আপনাদের জন্য চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে চর্মরোগ প্রতিরোধ করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরলাম।
  • প্রতিনিয়ত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এতে হাতে লাগা জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • খাবারের পাত্র ও পানি খাওয়ার পাত্র অন্য কারো সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • নিয়মিত প্রতিদিন হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এই পানির সাথে নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।
  • জামাকাপড় সহ বিছানা পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এবং অপরিষ্কার কাপড় পরিধান ত্যাগ করতে হবে।
  • বেশি বেশি ভিটামিনযুক্ত ফলমূল শাক - সবজি খেতে হবে।কারন আমরা সবাই জানি ভিটামিনের অভাবেও চরম রোগ হয়ে থাকে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • নিয়ম করে প্রতিদিন ৭ - ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। এতে অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
  • ত্বক সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।
  • অতিরিক্ত প্রচন্ড রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে।কারণ অতিরিক্ত রোদের মাধ্যমে চর্মরোগ হয়ে থাকে।
  • যেসব অ্যান্টিবায়োটিক এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে সেসব খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা চর্ম রোগের মহা ঔষধ হল তুলসী পাতা। দেহের নানা ধরনের ক্ষত,লাল ছোপ,জ্বালাপোড়া,চুলকানি ইত্যাদি সমস্যার জন্য তুলসী পাতা বেটি রস লাগালে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যায় বা সম্ভব।
  • সর্বশেষ চর্মরোগ হলে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
উপরোক্ত চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় এর পদ্ধতি ও নিয়ম অনুসরণ করলে এবং আমরা সচেতন ভাবে জীবন যাপন করলে চর্মরোগ থেকে খুব সহজে রক্ষা পাওয়া যাবে।

চর্ম রোগের ক্রিম

আমাদের কমবেশি সবারই চর্ম রোগ হয়ে থাকে। চর্মরোগ নিরাময় করার জন্য অনেকে ক্রিম ব্যবহার করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আবার অনেকে আছে ওষুধ খাইতে পছন্দ করে না। এজন্য ঔষধ এর বিপরীতে ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। এবং অনেক চিকিৎসকেরা চর্মরোগের জন্য ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই আজকে আমরা চর্মরোগ থেকে রক্ষা পেতে যেসব ক্রিম ব্যবহার করা যায় তা আপনাদের মাঝে নিচে তুলে ধরবো।
  • Cicloderm Cream
  • Tocoderm Plus cream
  • Clobiderm Cream
  • Lamisil Cream
  • Lotrimin Cream
  • Micatin Cream
  • Taf Plus Cream
যেহেতু আমরা সকলেই জানি চর্মরোগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এজন্য এর চিকিৎসহ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই সকলের উচিত হবে চর্ম রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়া।

চর্মরোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

চর্মরোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এর পদ্ধতি শুধু তাদের জন্য যারা ঘরে বসে কোন ওষুধ ছাড়াই চর্মরোগ ভালো করতে চায়। আমাদের মাঝে সবারই কম বেশি ইচ্ছা থাকে যে কোন ওষুধ ছাড়াই রোগ ভালো করা। এছাড়া অনেকেই আছে অযথা অপচয় না করার আবার অনেকের সামর্থ্য নেই চিকিৎসা করার তো আজকে আমরা জানবো কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চর্মরোগ ভালো করা যায় বা মুক্তি পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই,

অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরাতে একাধিক গুণাগুণ রয়েছে। চর্মরোগ থেকে মুক্তির জন্য অ্যালোভেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ ত্বকের যেকোনো সমস্যার জন্য অ্যালোভেরার রস লাগালে সহজেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নিম পাতাঃ আমরা সবাই জানি নিম পাতার রস বিভিন্ন ব্যাধির জন্য কাজ করে। নিম পাতার বাটা করে লাগিয়ে দিলে চুলকানি বা ত্বকের লাল সোপ কমাতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েলঃ আমাদের অনেক সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় যা চর্ম রোগের লক্ষণ বলা যেতে পারে। নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে শরীরের ত্বক ভালো থাকে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।
তুলসী পাতাঃ তুলসীপাতা চর্ম রোগের জন্য অনেক উপকারী। তুলসী পাতা বেটে রস লাগালে শরীরের নানা ধরনের পোড়া,ক্ষত,চুলকানি,লাল ছোপ সহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা জন্য খুব উপকারী।

প্রসাধনী ব্যবহারঃ ত্বকে বাজারের বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে সতর্কতা থাকতে হবে। এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে বা রাসায়নিক পদার্থ সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার তালিকায় যুক্ত করতে চেষ্টা করতে হবে। কারণ ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিনযুক্তঃ আমাদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় ভিটামিনযুক্ত ফলমূল,শাকসবজি ইত্যাদি রাখতে হবে। আমরা জানি ভিটামিনের অভাবেও চর্মরোগ হয়ে থাকে। তাই নিয়মিত ভিটামিনযুক্ত খাবার খেলে ত্বক ভালো থাকে সতেজ থাকে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নঃ আমরা যেসব কাপড় - চোপড় বা বিছানা ব্যবহার করি তা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবো। অপরিষ্কারের কারণেও চর্মরোগ হয়ে থাকে। তাই নিয়মিত ব্যবহৃত কাপড় - চোপড় ধুত করবো।

উপসংহারঃ

চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ মাধ্যমে আমরা আপনাদের জন্য চর্মরোগ হওয়ার কারণ, চর্মরোগ কত ধরনের হয়ে থাকে এবং সেগুলো কি কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও চর্ম রোগের লক্ষণ ও চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এবং চর্মরোগ কি কারণে হয়ে থাকে এবং কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চর্মরোগ ভালো করা যায় তার সম্পর্কে বলা হয়েছে।

এছাড়াও চর্মরোগ ভালো হওয়ার জন্য কিছু ক্রিম এর নাম আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আশা করছি, চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩ এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url