অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমরা মাসিক হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ দেখা যায়, অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়, অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনারা অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
নারীদের অনিয়মিত মাসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এজন্য অনিয়মিত মাসিক এর লক্ষণসহ মাসিক সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তাই আমরা নারীদের কথা চিন্তা করে আমাদের আজকের অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এই আর্টিকেলটি।

মাসিক হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ দেখা যায়

মহিলাদের মাসিক শুরু হওয়ার আগে তাদের শরীরে যেসব লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় তাকে বলা হয় প্রিম্যানস্ট্রয়াল সিনড্রোম। পিরিয়ড বা মাসিক হওয়ার সময় অনেক মেয়েরাই বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হয়। এবং পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে মহিলাদের শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তা এতটাই তীব্র হয় যে দৈননিন্দ কাজকর্ম করতে কষ্টকর হয়ে পড়ে। পিরিয়ড বা মাসিক শুরু না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের মধ্যে এসব লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। এখন চলুন জেনে নেই, মাসিক হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো;
  • পিম্পলস দেখা যায়।
  • হঠাৎ মেজাজ হারানো।
  • স্তনের কোমলতা।
  • অনেকের পেট ফুলে যায়।
  • পেট ব্যথা।
  • খিদে বেড়ে যায়।
  • কোমরে ব্যথা।
  • ক্লান্তি ভাব অনুভাব করা।
  • পায়ে ব্যথা।

অনিয়মিত মাসিক কতদিন পর পর হয়

নারীদের সময়মত মাসিক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হয় তাহলে নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সময় মত মাসিক বা পিরিয়ড না হওয়া অথবা একেবারে বন্ধ হওয়া মূলত পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের (POS) কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যার জন্য নারীদের অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। তবে সব সব বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।আমাদের মধ্যে অনেকে জেনে থাকবেন নারীদের মাসিক বা পিরিয়ড হয় ২৮ দিন পরপর।

আর স্বাভাবিক পিরিয়ড বা মাসিক বলা হয় ২৮ দিনের ৭ দিন আগে বা ৭ দিন পরে হতে পারে। বলা যায় ২১-৩৫ দিন পর পর হলেও সেটা যদি নিয়মিত ভাবে হয় তাকে স্বাভাবিক মাসিক হিসেবে ধরা হয়। আর যদি এই ২১ দিনের আগে আবার ৩৫ দিনের পরে এই দূরত্বের মধ্যে মাসিক বা পিরিয়ড হয় এবং তা যদি ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয় এবং এক মাসিকে ৫-৮ মিলি পর্যন্ত রক্ত যেতে পারে। আর এই কয়েকটির মধ্যে যেকোনো একটি হয় তখন তাকে অনিয়মিত মাসিক বা ঋতুচক্র বলে।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

নারীদের জীবনে বিভিন্ন স্ট্রেস আছে বা সময় আছে যে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে এই সময়গুলোতে অনিয়মিত মাসিক হলে অতটা দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে সেই সময় গুলো কখন। সেই সময় হচ্ছে যখন একজন নারীর মাসিক শুরু হয় অর্থাৎ প্রথমদিকে অনেকের অতটা মাসিক নিয়ম মত হয় না। এভাবে অনেকের ১-২ বছর অনিয়মিত মাসিক হলে দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। 
আবার বাচ্চা হওয়ার পর মা তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলে ছয় মাসের মত মাসিক বন্ধ থাকে বা অনিয়মিত মাসিক হতে পারে যা স্বাভাবিকভাবে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি শুরু থেকে অনিয়মিত মাসিক হতে থাকে এবং বাচ্চা হওয়ার পর যে মাসিক অনিয়মিত হয়েছিল তা যদি কন্টিনিউ ভাবে অনিয়মিত মাসিক হয় তাহলে চিকিৎসা করানো দরকার। নারীদের অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।

এই কারণগুলো সম্পর্কে নারীদের কমবেশি ধারণা থাকতে হবে। কারণ অনেক সময় গুরুত্ব দেয় না আবার অনেকে আছে মা, চাচী, পাড়ার ভাবি বলে থাকেন যে এমনিতেই ভালো হবে। বাস্তবে কিন্তু তা না অনিয়মিত মাসিক ভবিষ্যতের অনেক চিন্তার বিষয় হয়ে পড়বে। অনিয়মিত মাসিকের ফলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। 

আবার কিছু ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হতে পারে। যেহেতু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অনিয়মিত মাসিক এর কারণ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। এখন চলুন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেই।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ গুলো হলো;
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর কারণে।
  • শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এবং
  • হঠাৎ শরীরে ওজন কমানো।
  • অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতার জন্য।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা করার কারণে।
  • প্রি - মেনোপজের সময় হয়ে থাকে।
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া এবং কপার টি ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ফলে।
  • থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে হয়।
  • মা তার সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলেও হয়ে থাকে।
  • জরায়ুর টিউমার ও এন্ড্রমেট্রিওসিস এর কারণে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে।
  • হরমোন জনিত পিসিওএস রোগ হলে।
  • কিশোরী বয়সে ইস্ট্রোজেন ও পোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে।
অনিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রতিকার

সাধারণত অনিয়মিত মাসিক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোনাল থেরাপি দিতে হবে। শরীরের ওজন বেশি থাকলে ডায়েট করতে হবে। এবং যদি রক্তপাত বেশি হয় তাহলে আয়রন সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে। তবে উচিত হবে আগে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে হবে কি কারণে অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে তারপর চিকিৎসক উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকবেন।

এখন প্রশ্ন হল কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? চলুন জেনে নেই, নিচের এই বিষয়গুলো যখন আপনার মাঝে লক্ষ্য করবেন তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন।
  • ২১ দিনের আগে এবং ৩৫ দিনের পর ঋতুস্রাব হলে।
  • রোগীর বয়স ৪৫ এর কম তাদের যদি হঠাৎ মাসিকের চক্র পরিবর্তিত হয়।
  • মাসিক ৭ দিনের বেশি থাকলে বা ৩ দিনের চেয়ে কম হলে।
  • অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে তখন আপনি বাচ্চা নিতে চাইলে।
  • ঋতুস্রাবের সময় যদি অতিরিক্ত রক্তপাত হয়ে থাকে।
  • বছরে ৩ বার বা তার কম ঋতুস্রাব হলে।
এছাড়াও অনিয়মিত মাসিক হলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে অনিয়মিত মাসিক দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। সেগুলো আপনাদের মাঝে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরলাম।

কাঁচা পেঁপেঃ কাঁচা পেঁপে মাসিক রেগুলেশন করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন কাঁচা পেঁপের রস খেলে মাসিক নিয়মিত হয়। তবে মাসিক চলাকালীন না খাওয়াই উত্তম। এছাড়াও কাঁচা পেঁপে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আদাঃ আদা খেলে পিরিয়ড সাইকেল রেগুলেশন এই সহায়তা করে এবং মাসিক নিয়মিত করে। এজন্য পানির সাথে আদা কুচি কুচি করে ফুটিয়ে নিন। এবং এর সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের পরে খেয়ে ফেলুন। এক মাসের মত খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ রক্তে ইনসুলিন এবং সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। এজন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেলে নিয়মিত মাসিক হতে সহায়তা করে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবারের আগে খেয়ে নিন। তাহলে আপনার পিরিয়ড সাইকেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

দারুচিনিঃ অনিয়মিত মাসিক দূর করার জন্য দারুচিনি খেতে পারেন। দারুচিনি গুড়া চা অথবা লেবুর রসের সাথে মিশ্রণ করে খেয়ে ফেলুন। মাসিক নিয়মিত করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ফল সবজির জুসঃ আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং হরমোন রেগুলেশন বজায় রাখতে নিয়মিত প্রতিদিন ফল ও সবজির জুস খান। মাসিক নিয়মিত করতে সবচেয়ে কার্যকরী গাজর এবং আঙ্গুরের রস। তাই প্রতিদিন দুইবার করে ভিটামিন জাতীয় ফলের রস খেতে পারেন।

ব্যায়াম করা এবং মেডিটেশনঃ অনিমিত মাসিক হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা। শরীরে যেসব হরমোন পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তা মানসিক চাপের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনি যদি নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করেন তাহলে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে।

আয়রনের ঘাটতিঃ আয়রনের ঘাটতি হলেও অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। এজন্য উপরিউক্ত পদ্ধতির পাশাপাশি প্রতিদিন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন; ডিম, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, কলিজা, চিংড়ি, লাল শাক, পালং শাক, কচুর শাক, তরমুজ, খেজুর, টমেটো, মিষ্টি আলু, ভুট্টা, ডাল, শস্য দানা ইত্যাদি।

অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়

নারীদের অনিয়মিত মাসিক হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। জেনে নেই অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়। সমস্যাগুলো হল;
  • মাসিকের সময় এক মাসে রক্তপাত বেশি হতে পারে আবার অন্য মাসে কম হতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে রক্তপাত হওয়া।
  • গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • অনেক ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে থাকে। এছাড়াও
  • মানসিক অশান্তি ও মেজাজ খিটখিটে হওয়া।

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

একজন নারীর জীবনের অখন্ড অঙ্গ হচ্ছে মাসিক চক্র। এই মাসিক চক্রের সাথে একজন নারীর প্রজনন ক্ষমতা জড়িয়ে আছে। আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন মাসিক চক্র সাধারণত ২৮ দিনে হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে ৩৫ দিনের মধ্যেও হতে পারে। প্রতিটা নারীর ক্ষেত্রে এই মাসিক চক্র আলাদা হয়ে থাকে। সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার আদর্শ সময় ধরা হয় যখন ঋতুস্রাব শুরু হয় সেদিন থেকে গণনা করলে ১১-১৪ তম দিন এর মধ্যকার সময়কে।

মাসিক চক্র নারীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা নারীদের গর্ভবতী হওয়ার বয়স নির্ধারণ করে থাকে। এখন জেনে নেই, কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়। আমরা আগে জেনেছি, একজন নারীর ২৮-৩৫ দিন পর পর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। যেসব নারীর নিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তাদের যদি সহবাসের পরবর্তী মাসে যদি মাসিক না হয় তখন বুঝবেন আপনে গর্ভবতী হয়েছেন। এছাড়াও কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভ ধারণ করার এক মাস পর থেকে এসব লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। লক্ষণগুলো হল; গর্ভবতী নারীদের ৪-৬ সপ্তাহ পর বমি শুরু হয়। সকালে গা গুলিয়ে ওঠে। অনেকের আবার সারাদিনের যে কোন সময় বমি হতে পারে। মাসিক মিস করার আগে ৮০ শতাংশ নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও মুডসুইং, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা ও মাথা ভারী হওয়া, গলা শুকিয়ে আসা, বেশি বেশি শৌচাগারে যাওয়া এবং খেতে অরুচি বা খিদে বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার - শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, অনিয়মিত মাসিক এর ফলে নারীদের স্বাস্থ্যর অনেক ক্ষতি হতে পারে। এজন্য নারীদের সুবিধার্থে আমরা অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি মাসিক হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ দেখা যায়, অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়, অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়, এবং কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় তা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছি। আশা করছি, আপনারা নিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url