খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

ডালিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনআপনারা পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকে আমরা দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, খেজুর খাওয়ার নিয়ম এবং খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই খেজুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটি পড়ুন।
খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আমরা সবাই এই উপকারী ফল খেয়ে থাকি। খেজুর খেলে শরীরের কি কি উপকার হয় তা সম্পর্কে আমরা কিন্তু সবাই জানি না। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরের বিভিন্ন ব্যাধি প্রতিরোধ করে। বিস্তারিত জানতে খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটি মনোযোগসহ পড়ুন।

খেজুরের নামের তালিকা

আমাদের দেশে খেজুর খুবই জনপ্রিয়। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। আমাদের দেশে প্রায় ৩০ রকমের খেজুর পাওয়া যায়। বিশ্ববাজারে প্রায় ১০০ জাতের খেজুর রয়েছে। আমরা শুধু আরব দেশের খেজুর বেশি দেখি বা জানি। আরব ছাড়াও জর্ডান, মিশর, দুবাই, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া বিভিন্ন দেশের খেজুর মানুষের চাহিদা মেটায়। এখন চলুন জেনে নেই, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন খেজুরের নামের তালিকা সম্পর্কে।
  • মারিয়াম
  • আজওয়া
  • আম্বার
  • আনবারা
  • সাগি
  • সাফাওয়ি
  • মুসকানী
  • খালাস
  • ওয়াসালী
  • বেরহি
  • শালাবি
  • মাবরুম
  • ডেইরি
  • সেফরি
  • সুক্কারি
  • খুদরি
  • রুথান
  • জাহেদী
  • দাব্বাস
  • নাগাল
  • মেডজুল
  • নাগাল
  • ফরিদা
  • কালমি

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। রমজান মাস আসলে খেজুরের চাহিদা অন্যান্য সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এই সময় কম বেশি সবাই খেজুর খেয়ে থাকে। এ মাসের তুলনায় অন্যান্য মাসে আমাদের মধ্যে খেজুর খাওয়ার সংখ্যা খুব কম। তবে আমাদের মধ্যে এই অভ্যাসটা আছে যে যখন কোন জিনিস খাবো একেবারে বেশি খাবো যেকোনো সময় খাবো। আসলে এটা কিন্তু ঠিক না কোন জিনিসই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত না।এতে উপকার পাওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্যর আরও বেশি ক্ষতি হয়।

তেমনি খেজুর খেলে পরিমিত খাওয়া একটা নির্দিষ্ট টাইমে খাওয়া। এখন প্রশ্ন হলো দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত? তাহলে চলুন জেনে নেই খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলের এই পর্বে। দিনে ৪-৫ খেজুর খাওয়া যেতে পারে এতে স্বাস্থ্যর উপকারিতা পাওয়া যাবে। আপনি যদি প্রতিদিন এভাবে খেজুর খান তাহলে ২৭৭ ক্যালোরি আপনার শরীরে যুক্ত হবে। খেজুর মিষ্টি হওয়ায় যদি বেশি খেতে থাকেন তাহলে ওজন কমবে না বরং খুব দ্রুত বাড়তে থাকবে।

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের অতি পরিচিত এবং সুস্বাদু একটি ফল হলো খেজুর। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, আয়রন সহ নানাবিধ পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীরে এসব খাদ্য উপাদান বয়স বাড়ার সাথে সাথে অতি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। বয়স বাড়ার ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কমে আসে। শুধু তাই না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে, কর্মশক্তি হ্রাস, দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, হজমের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাড় ক্ষয় ও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। 
আর এসব সমস্যার দূর করতে খেজুর অপরিসীম ভূমিকা পালন করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরের আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। তবে খেজুরের অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে খেজুর গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেজুর খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন, খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

খেজুরের উপকারিতা গুলো হল;
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • খেজুর খেলে মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি পায় সাথে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আপনাদের যাদের ভুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে বা স্মৃতিশক্তি কমে গেছে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
  • লিভারের সমস্যায় খেজুর অনেক উপকারী। এছাড়াও গলা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের জ্বর সর্দিও ঠান্ডায় খেজুর উপকারী। ভিজিয়ে রেখে খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
  • খেজুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের রাত কানা রোগ রয়েছে বা বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের সমস্যা দেখা দেয় তাদের খেজুর খাওয়া উচিত।
  • বয়স সাথে সাথে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
  • খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে পেশি ভাল রাখতে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত খেজুর খেলে তারুণ্যতা ও যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। উপকার পেতে খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
  • অনেকের হজমের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। অন্তের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক। খেজুর এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি। যার ফলে খেজুর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সাথে শক্তি কমে যায় বা ঝিমুনি ভাব দেখা দেয়। এজন্য প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খাবেন শক্তি বাড়বে আর ক্লান্তিও আসবে না।
  • আমরা জানি, ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এটা হাড়কে মজবুত করে তোলে এবং মাড়ির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যা শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে এবং রক্তের কোষ বৃদ্ধি হবে।
খেজুরের অপকারিতা হল;
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • খেজুর সংরক্ষণে সালফাইট নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যার ফলে চুলকানি সহ ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে।
  • যাদের শ্বাসকষ্ট ও এলার্জি রয়েছে তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। এতে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
  • এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খেতে হবে।

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আমরা খাবার থেকেই চলার জন্য শক্তি পেয়ে থাকি। এই খাবারের মধ্যে এমন কিছু খাবার আছে যা সকালে খালি পেটে খেলে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকার হল খেজুর। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খেজুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ফাইবার ইত্যাদি। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীর থাকবে এনার্জি। 
খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমনি চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও এ ফলটির অনেক গুণ রয়েছে। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এখন চলুন, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজ এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনে নেই, সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটাই দূর হয়। এবং মুখের লালাকে খাবারের সঙ্গে মিশতে সহায়তা করে যার ফলে বদহজম দূর হয়।

মস্তিষ্ক সচলঃ খেজুরের অন্যতম গুণ হলো মস্তিষ্ক সচল রাখা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং শক্তি বৃদ্ধি করে মস্তিষ্ক ভালো রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে খেজুর খুবই কার্যকরী। খেজুরে ফাইবার থাকায় ক্ষুধা কমায় যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

ত্বকের যত্নঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চামড়া কুঁচকে বা ভাজ পড়ে যায়। খেজুরে ভিটামিন বি রয়েছে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে ত্বকে ভাঁজ পড়া ধীরে ধীরে কমে যাবে।

হার্টের সমস্যাঃ যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে হার্ট ও হৃদরোগের সমস্যা দূর হবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়তা করে। এছাড়াও মুখের গহ্বরের ক্যান্সার রোধে এই ফল বেশ উপকারী।

হাড় গঠনঃ খেজুরে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়গঠনে সহায়ক। হাড়কে মজবুত বা শক্ত করে তোলে। এবং শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম

খেজুরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান। খেজুরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে তোলে। পুষ্টিগুনে ভরপুর অধিক মিষ্টি হাওয়ায় অনেকেই খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম বুঝে উঠতে পারে না। কাঁচা খেজুর খাওয়া উচিত নাকি সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়া ভালো অনেকেই চিন্তা ভাবনায় পড়ে যায়। আবার খালি পেটে খাবেন নাকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবেন। 
আসলে কখন খেজুর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। চলুন, জেনে নেই খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। প্রাকৃতিকভাবে খেজুরে চিনির পরিমাণ বেশি হলেও এটি তৎক্ষণাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। তাই আপনি চাইলে সকালে খালিপেটে ২-৪ খেজুর খেতে পারেন। এতে সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় খুব ভালো এনার্জি পাবেন। 

খেজুরে ফাইবার থাকায় খিদে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুর খাওয়ার উত্তম সময় হলো সকালে খাওয়া। এতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে এবং হার্ট ও লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

খেজুর খেলে কি বীর্য ঘন হয়

অতি সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী উপাদান। খেজুর স্বাস্থ্য উন্নতির পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। খেজুরে রয়েছে এস্টাডিওল এবং ফ্ল্যাভোয়েড। যা পুরুষের শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি ও গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুর খেলে কি বীর্য ঘন হয়? উত্তর হ্যাঁ। যাদের বীর্য পাতলা তাদের ক্ষেত্রে খেজুর বেশ সহায়ক হবে। তাই পুরুষের নিয়মিত খেজুর খাওয়া উচিত। বিশেষ করে যাদের বয়স ৩০ এর বেশি।

শেষ কথা - খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, অতি পরিচিত এবং পুষ্টিগুন ভরপুর খেজুর সম্পর্কে বিস্তারিত খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা যারা খেজুর সম্পর্কে সঠিক তথ্য অজানা ছিলেন তা আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। যা আপনার এই উপকারী ফল খাওয়ার ইচ্ছা করবে এবং সঠিক নিয়মে খেতে পারবেন। ফলে আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url